পাগলা মসজিদের ২৮ বস্তায় মিললো ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা

- আপডেট সময় : ১০:৪০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
- / ১০৭৩ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দিন দিন বাড়ছে দানের পরিমাণ। এবার ৩মাস ২৬দিন পর ৯টি লোহার দান বাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা, বৈদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দিনভর গণনা শেষে পাওয়া যায় ৭কোটি ২২ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা, বৈদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। তবে এবার টাকার পরিমাণ কম। এর আগে এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা ও বৈদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।
সন্ধ্যা ৭টায় রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সাধারণত ৩ মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হলেও এবার ৩ মাস ২৬ দিন পর খোলা হয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, দানের টাকা জমা রাখা হয় মসজিদের নামে খোলা একটি ব্যাংক একাউন্টে।প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় বহুতল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাগলা মসজিদের টাকা নয়ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। সুক্ষ্মভাবে প্রতিটি টাকার হিসাব রাখা হয়। প্রতিবার টাকাগুলো গুনে ব্যাংকের হিসাবে জমা রাখা হয়।
জনশ্রুতি আছে, কোন এক সময় একজন আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত মসজিদটি পাগলা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়।পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারনা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।