ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্ধুর গৌধুলী ট্রেনের ‘ঘ’ বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর ‘ঘ’ বগিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে।অনেকে লাফিয়ে ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে।এ সময় দ্রুত ট্রেনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।পরে ট্রেনে থাকা রেলওয়ের কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ১২ টার কিছু পড়ে এসে পৌছেছে।ট্রেন আসার পর যাত্রীরা নামার সাথে সাথেই ট্রেনের সব দরজা জানালা লাগিয়ে দেয় কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে আগুন লাগার সময় ট্রেনে অবস্থান করা যাত্রী মো:জুয়েল রাত সাড়ে ১১ টায় জানান,এগারসিন্ধুর গোধূলি ট্রেনে আগুন লেগেছে সবার কাছে দোয়া চাই আমিও এই ট্রেনেই।আমরা এখন মানিক খালি আলহামদুলিল্লাহ আগুন নিয়ন্ত্রণে।
মৃত্যুর কতো কাছে আল্লাহর রহমতে সবাই হেফাজতে আছি। এগারসিন্ধুর গৌধুলি ট্রেনের ‘ঘ’ বগির পাশের বগিতে থাকা যাত্রী সাজ্জাদ শুভ জানান,’সরারচর থেকে মানিকখালী স্টেশন একটা থেকে আরেকটা স্টেশন ১০ মিনিট এর রাস্তা। আজকে ১০ বছরের মত মনে হল।আগুন লাগার পর মানুষ এর হৈহুল্লোড়,আল্লাহ আল্লাহ করা, বাচার আকুতি এক বগি থেকে আরেক বগিতে দৌড়াদৌড়ি,সব অন্ধকার,পাশে আগুনের ধোয়া। ট্রেনের লাস্ট দুর্ঘটনা গুলোর কথা মনে করে,ভেবেছিলাম এখানেই হইতো শেষ। চেইন টানলাম কাজ করে নাই। সবাই মিলে চেইন টেনেও লাভ হলনা।মেবি আগুনটা ছড়ালে মরা ছাড়া উপায় ছিলনা। আল্লাহর রহমতে কিছু হইনি। কিশোরগঞ্জ স্টেশনে একটু আগে ট্রেন থামল সবাই নামলাম। ছোট আগুন কিন্তু অনেক বড় বিপদ, এক মুহুর্ত মনে হয়েছিল এই বুঝি শেষ।’
তবে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা অস্বীকার করেছে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দ্বায়িত্বরত সহকারি স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,’এগারসিন্ধুর গৌধূলী ট্রেন বর্তমানে আমার সামনে স্টেশনে এসে পৌছেছে অল্প কিছুক্ষণ আগে। আগুন লাগার মত কোন তথ্য পাইনি। ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে আমার জানা নেই।’