জমির বায়নাপত্র ফিরিয়ে না দেয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আসিক মিয়া, তার সহোদর আকাশ মিয়া ,একই গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে সাক্তার মিয়া, আক্কল আলীর ছেলে ফজলুল হক , টুনু মিয়ার ছেলে জাফর আলী।
আশংকজনক অবস্থায় আহতদের সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মানুষজন ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ীগণ জানান,উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কালা মিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি কিনে বায়নাপত্র করে মৃত্যুবরণ করেন।
ওই জমির বায়নাপত্র ফিরিয়ে দিতে গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মঞ্জুর আলী কালা মিয়া ছেলে আসিক সহ পুরো পরিবারের উপর নানামুখী চাঁপ সৃষ্টি করে।
শুক্রবার উপজেলার বাদাঘাট বাজারে গেলে গবাদিপশু(গরু) হাটে থাকা মঞ্জুর আলীর আত্বীয় চন্দ্রপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে সোহরাবের দোকান ঘরে আটকে রেখে আসিক সহ তার সাথে থাকা পরিবারের অপর এক সদস্যকে বায়নাপত্র ফিরিয়ে দিতে ভয় ভীতি দেখানোর পাশাপাশী লাঞ্চিত করে সোহরাব ও তার লোকজন।
ওই ঘটনা নিষ্পক্তির জন্য উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের সালিসীদের নিয়ে আসিক ও তার পবিারের সদস্যরা প্রতিবেশী মঞ্জুর আলীর বাড়ির উঠানে গেলে মঞ্জুর আলী, তার পরিবারের সদস্যরা, স্বজনরা সংগঠিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা চেষ্টার উদ্দ্যেশে আসিক,তার সহোদর আকাশ,ফজলুল হক,সাক্তার,জাফরকে ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তার্থ জখম করে।
পরে গ্রামবাসীরা আহতদের উদ্যার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।
শনিবার রাতে হামলায় গুরুতর আহত উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আসিক মিয়া এমন অভিযোগ করে বললেন,আমার পিতার মৃত্যুর পর বার বার ওই জমির বায়নাপত্র ফিরিয়ে দিতে মঞ্জুর আলী, তার পরিবারের লোকজন,স্বজনরা একাধিকবার আমাদেরকে লাঞ্চিত করে সর্বশেষ হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে এমন বর্বরভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমাদেরকে রক্তার্থ জখম করে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মঞ্জুর আলী,তার ছোট ভাই জিয়াউর রহমানের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমকে/আস্থা/এইচএসএ