কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত বুধবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী বুধবার রাতে বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় কিশোরগঞ্জ সদরের বাড়িতে ফেরার পথে কুলিয়ারচরে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনি কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য বুধবার বিকাল ২টার দিকে ঢাকা থেকে বাসে ওঠে রাত ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সায়েদাবাদ থেকে বাসে ভৈরবে পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন। সেটিতে দুই পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তার এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন। দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এরমধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে দেখেন গাড়িতে তিনি, চালক ও চালকের এক সহযোগী। রাত পৌনে ২টার দিকে কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা কেড়ে নেয় তারা। গভীর রাতে তিনি একা হেঁটে যাওয়ার সময় পথে এক পথচারীর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ইতোমধ্যে মামলায় জড়িত সিএনজিচালক শাহ আলমকে (২৮) ও তার সহযোগী তানভীরকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেয়ের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।