চাকরির গ্রেড উন্নয়ন ও পদমর্যাদা সংশোধনে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কিশোরগঞ্জের স্বাস্থ্য সহকারীরা।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুয়েদ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক হবিকুল হাসান, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আব্দুর রহমান রুমী, স্বাস্থ্য সহকারী মাছুম আহাম্মদ, রেজওয়ান মিয়াসহ আরও অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান স্বাস্থ্য সহকারীদের। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের দেওয়া হয়েছে ১৬তম গ্রেড। এক দশকের বেশি সময় চাকরিতে থেকেও গ্রেডের উন্নয়ন হয় না। যারা প্রকৃত টেকনিক্যাল কাজ করেন, তাদের পদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে নন-টেকনিক্যাল হিসেবে। এটা বড় ধরনের বৈষম্য।+
তারা আরও বলেন, যারা পশু বিভাগে চাকরি করে গরু-ছাগলকে টিকা দিয়ে টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা পাচ্ছে। কিন্তু আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে টিকা দিয়েও সেই মর্যাদা থেকে বঞ্ছিত হতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সরকার স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল স্বীকৃতি ও বেতন কাঠামোর উন্নয়নের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে যায়নি। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী কর্মরত রয়েছেন, যারা শিশু, গর্ভবতী নারী, কিশোরীসহ বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে টিকাদান ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। আমাদের যৌক্তিক দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
কর্মসূচিতে উত্থাপিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে ১৪তম গ্রেডে পদায়ন।
চাকরিরত অবস্থায় ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল মর্যাদা দেওয়া।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেডের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা।
আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা।
পুনঃনির্ধারিত বেতন কাঠামোর সঙ্গে টাইম স্কেল ও উচ্চতর স্কেলগুলো সংযুক্ত করে বেতন উন্নীত করা।
ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান হিসেবে গণ্য করা।স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।