কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেতে মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ইনামুর রহমান চৌধুরী।
তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান। অধ্যাপক ড. ইনামুর রহমান চৌধুরী তাড়াইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধলা চৌধুরী বাড়ির খান সাহেব আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী নাতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গুরুদয়াল সরকারী কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রবাদ প্রতিম শিক্ষাগুরু অধ্যাপক রফিকুর রহমান চৌধুরীর মেঝো ছেলে। আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ড. ইনামুর রহমান চৌধুরীর ছাত্রজীবন শুরু ছাত্রলীগের মাধ্যমে। কলেজ ও মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মেডিকেল অধ্যায়নকালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির সদস্য সচিব ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বাংলাদেশ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। কেন এমপি হতে চান-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি শিক্ষিত মানুষদের সংসদে আসার সুযোগ দিলে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে’। ‘এছাড়া করিমগঞ্জ-তাড়াইল আসনটি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকায় দুটি উপজেলার আওয়ামী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে, এলাকাটি সামষ্টিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
দলের কাঠামোও দুর্বল হয়ে গেছে। তাই আমি দলীয় মনোয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়ে এমপি হতে পারলে এসব সমস্যা সমাধানে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায়, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অবদান রাখায় ও আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আমি গভীরভাবে আশাবাদী।’