কিশোরগঞ্জ -৫ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল এমপি আফজালকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি যদি প্রার্থী না হতাম আপনাদের কাছে কেউ ভোট চাইতে আসতো না! বিগত ১৫ বছর মানুষ যাকে ভোট দিয়ে আর ভোট না দিয়ে হোক মহান জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিলো সেই নিকলী বাজিতপুরের অবহেলিত মানুষের কথা তিনি তুলে ধরতে পারেননি। আপনারাই বলুন তিনি কি একদিন ও সংসদে নিকলী বাজিতপুরের অবহেলিত মানুষের কথা বলতে পেরেছে? পারেনি! তাই নিকলী বাজিতপুরের মানুষ পরিবর্তন চায়।
# ভোটহীন নির্বাচনে এমপি আফজালের সাহস বেড়ে গেছে: ইউপি চেয়ারম্যান তুলিপ# রাতের ভোটের দিন শেষ: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিপন # সংসদে কথা বলতে শিক্ষা ও বুকে সাহস লাগে: বীর মুক্তিযোদ্ধা#
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে নিকলী সদর ইউনিয়নের নতুন বাজারে ঈগল প্রতীকের পথসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত পাল এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তর করেছেন। এবারের নির্বাচনের ইশতেহারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবেন।তাই আমরা মনে করি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট প্রতিনিধি প্রয়োজন।স্মার্ট প্রতিনিধি হলো একজন শিক্ষিত,সৎ,কর্মীবান্ধব প্রতিনিধি।যিনি সংসদে গিয়ে অবহেলিত নিকলী বাজিতপুরের কথা বলবে।আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম।কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান এমপিকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই।তাই দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার আহবান জানিয়েছিলেন তিনি। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলীয় ও জনগণের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।নিকলী বাজিতপুরের ১% মানুষের সই নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়। তাই আমি জনগণ কর্তৃক মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমার মনোনয়ন যেদিন বাতিল করে দেয়া হয়েছিল,সেদিন নিকলী বাজিতপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। মানুষ মনে করেছিল আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। বিনা ভোটে এমপি হয়ে যাবে। আপনাদের কাছে কেউ আসবে না। আমি এই বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। আমি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নিকলী বাজিতপুরে আনন্দের বন্যা বইছে। কারণ নিকলী বাজিতপুরের মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।
তিনি আরো বলেন,আমি আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে আপনাদের ভোটের অধিকার পবিত্র আমানত ফিরিয়ে দিয়েছি। আপনাদের ইজ্জত,সম্মান আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি যদি প্রার্থী না হতাম আপনাদের কাছে কেউ ভোট চাইতে আসতো না। আমি প্রার্থী না হলে আপনাদেরকে কেউ সম্মান করতো না, কেউ জিজ্ঞেস করতো না। তাই এই কারনে আমি ঈগল প্রতীকে আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। পথসভাটি জনসভায় রূপ নেয়। নিকলী সদর ইউপি সদস্য জসিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাছির উদ্দিন রিপন,নিকলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, গোলামু রহমান গোলাপ,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকিরুল হক,নিকলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ সহ আরও অনেকেই।