জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জবি) ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৫,১২,৫০০ টাকা ডাকাতির অভিযোগে থানায় মামলা করে মো. মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি। ফরহাদ ব্যাপারী (১নং,মুন্সিগন্জ),ইব্রাহিম ফরাজি (২ নং,ভোলা),আরশাদ আকাশ (৩নং,মুন্সিগন্জ), রাসেল চাকলাদার (৪নং,মুন্সিগন্জ),টুটুল আহমেদ (৫নং) সহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ১নং আসামি ফরহাদ ব্যাপারী,মশিউর রহমানের পূর্ব পরিচিত ।
পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ফরহাদ ব্যাপারী মশিউর রহমানের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে চার লক্ষ টাকা ধার নেয় এবং লভ্যাংশের কিছু অংশ মশিউরকে দিবে বলেও জানান।কিছুদিন পর মশিউর রহমান ফরহাদ ব্যাপারির কাছে টাকা ফেরত চাইলে ব্যবসায় লস হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই তার পাওনা টাকা ফেরত দিবে বলে জানালেও কিছুদিন পর আবার টাকা ফেরত চাইলে আসামী টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় । তখন মশিউর রহমান ,ফরহাদ ব্যাপারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে জানালে ১নং আসামী ক্ষুব্ধ হয়ে মশিউর রহমানের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। মামলার আসামী ইব্রাহিম ফরাজি এবং ফরহাদ ব্যাপারি দুজনই মশিউর রহমানের পূর্ব পরিচিত।তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনো করেছে। সেই সুবাধে ইব্রাহিম ফরাজি গত বছরের নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে ওয়ারি (পুরান ঢাকায়) তার নিজ বাড়িতে মশিউর রহমানকে পাওনা টাকা আদায় এবং সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে জিম্মি করে ৫,১২,৫০০ (পাঁচ লক্ষ বার হাজার পাঁচশত) টাকা হাতিয়ে নেয়। ইব্রাহিম ফরাজির দেয়ার ঠিকানায় মশিউর রহমান পৌছালে আসামীসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী মিলে তাকে বাইক থেকে টেনে- হিচড়ে নামিয়ে মারধর করতে থাকে এবং জোর করে উক্ত বাড়ীর ২য় তলায় নিয়ে রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে চড়-থাপ্পর মারতে থাকে।তখন আরশাদ আকাশ নামের ব্যক্তি নিজেকে মাদারীপুর পোর্টিং থাকা একজন পুলিশের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন এবং মশিউর রহমানে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হাতে থাকা আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এবং বাইকের চাবিসহ পকেটে থাকা নগদ ১১,০০০/- টাকা ছিনিয়ে নেয়। মশিউর রহমানের মানিব্যাগে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের দুটি এটিএম কার্ড থেকে বিভিন্ন উপায়ে জোরপূর্বক ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এটিএম বুথে গিয়ে মশিউর রহমান টাকা উত্তোলন করতে অসীস্কৃতি জানালে ৫নং আসামীসহ আরো ২/৩ জন মিলে বাদীকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং ৩নং আসামী বাদীর হাতে পিস্তল দিয়ে মোবাইলে ছবি ধারণ করে এবং টাকা উত্তোলন না করলে উক্ত ছবি দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়।ইসলামপুর রোড এবং বংশালের এটিএম বুথের সিসিটিভি ফুটেজে এসব চিত্র ধারন করা আছে। আরশাদ ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মশিউর রহমানকে মোবাইল ফোন এবং মটর সাইকেল নিয়ে যেতে বলে এবং উক্ত বিষয়ে মুখ খুললে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বাদীকে ক্রস ফায়ারে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । পরবর্তীতে,মশিউর রহমান এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা যোগাড় করে ফরহাদ ব্যাপারির কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন এবং মটর সাইকেল ফেরত নেয়। সর্বমোট ৫,১২,৫০০ (পাঁচ লক্ষ বার হাজার পাঁচশত )মশিউর রহমানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়।এবং এ বিষয়ে যদি কারো কাছে বলে তাহলে বাদীর হাতে পিস্তল দিয়ে তোলা ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিবে এবং থানায় মিথ্যা মাদক মামলা ও অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে পুলিশ দিয়ে বাদীকে গ্রেফতার করাবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মশিউর রহমান ওয়ারী থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ সদস্য জড়িত থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ জিডি নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
জবি প্রতিনিধি: