পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটিতেও থেমে নেই কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে সেবাগ্রহীতারা ভীষণ খুশি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালাকের নির্দেশনা মোতাবেক কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান, সহকারী পরিচালক পরিবার পরিকল্পনার এডিসিসি ডা. হালিমা বেগম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. মো. সাইদুল হাসান, উপজেলা (প: প:) কর্মকর্তার জুবায়ের হোসেন সাকির সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবাকেন্দ্রগুলোতে সেবা চলমান থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ বিশেষ আগ্রহের সাথে এসব সেবা গ্রহণ করেছেন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে করিমগঞ্জ উপজেলায় ১টি, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ১০টি নরমাল ডেলিভারি, তাড়াইল উপজেলায় ১টি নরমাল ডেলিভারি, কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ৫টি ডেলিভারি, মুমুরদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ৭টি ডেলিভারি, ভৈরব উপজেলা শিবপুরে ৭টি ডেলিভারি, পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দিতে কেন্দ্রে ১টি ডেলিভারি, নিকলী কেন্দ্রে ২টি ডেলিভারি, বাজিতপুর কেন্দ্রে ৪টি ডেলিভারি, হোসেনপুর সিদলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১টি ডেলিভারি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, “পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা কিশোরগঞ্জ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল সেবাকেন্দ্রে সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। প্রান্তিক জনগণের প্রসব সেবা প্রদানকারীতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলে ঈদের ছুটি চলাকালে ৩৭ জন গর্ভবতী মাকে নিরাপদ প্রসব সেবা প্রদান করা হয়েছে।”