ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল হওয়ায় মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম আকাশছোঁয়া, কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ

Rayhan Zaman
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১০৪৪ বার পড়া হয়েছে

গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের বাহার, আর সেই বাহারে অন্যতম জনপ্রিয় ও রসালো ফল হলো লিচু। ফলটির স্বাদ মিষ্টি, রসালো ও সুগন্ধি হওয়ায় ছোট-বড় সবারই খুব প্রিয়।

লিচু বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও চাষযোগ্য একটি ফল। বিশেষ করে দিনাজপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গাইবান্ধা অঞ্চলের পর এবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ‍উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু। মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু খুবই বিখ্যাত। বিখ্যাত এই লিচু একসময় স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা পূরণ করে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ,গাজীপুর ও রাজধানীতে পাওয়া গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম এখন আকাশছোঁয়া। এছাড়া আকারে বড় ও রঙ আকর্ষণীয় করতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে চাষীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, চড়া দাম আর সাধ্যের বাইরে হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লিচুপ্রেমীরা পছন্দের ফল না কিনেই ফিরতে হচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

এদিকে জেলা শহরের বাজারগুলো ঘুরে কোনো ফলের দোকানে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর আগে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু বাজারে পাওয়া যেত। কিন্তু ব্যাপারীরা মালিকদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেওয়ায় এই লিচু এখন আর বাজারে আসেনা। চড়া দামের কিনে সেই লিচু বিক্রি করা সম্ভব না। বাহিরের লিচুর দাম যেখানে ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা সেখানে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। যার ফলে সাধারণ ক্রেতারা এ লিচু কিনতে পারছে না। আর এখন রপ্তানি লোভে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু পাওয়া যায়না। লিচু কিনতে গেলে বাগান মালিকরা লিচু বাহিরে রপ্তানি করবে বলে মজুদ করে রাখে।

লিচু ব্যবসায়ী তৌহিদ মিয়া জানান, ‘এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। একসময় এই লিচু মাথায় করে জেলা শহরসহ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ঢাকায় নিতে হত। এখন ভাইরাল হওয়ায় মানুষ সরাসরি বাগানে চলে আসে। অন্য অঞ্চলের থেকে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর স্বাদ ও চাহিদা বেশি তাই লিচুগুলো দাম একটু বেশি। আর আমরা কৃষি অফিসেরর নিয়ম অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করেছি। কীটনাশক ব্যবহার না করলে পোকার আক্রমনে একটা লিচুও গাছে থাকবে না, সব ঝড়ে পড়বে।’

পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ নূর-ই আলম বলেন, ‘মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৫ হাজারের বেশি লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। কীটনাশক ব্যবহারে আমরা লিচু চাষীদের বারবার সর্তক করেছি। আমরা কৃষকদের লিচু সংগ্রহের ১৫-২০ দিনে পূর্বে স্প্রেটা করতে বলেছি। যার ফলে সেই ফলটা খেলে কোনো ক্ষতি হবে না।‘

ভাইরাল হওয়ায় মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম আকাশছোঁয়া, কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের বাহার, আর সেই বাহারে অন্যতম জনপ্রিয় ও রসালো ফল হলো লিচু। ফলটির স্বাদ মিষ্টি, রসালো ও সুগন্ধি হওয়ায় ছোট-বড় সবারই খুব প্রিয়।

লিচু বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও চাষযোগ্য একটি ফল। বিশেষ করে দিনাজপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও গাইবান্ধা অঞ্চলের পর এবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ‍উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু। মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু খুবই বিখ্যাত। বিখ্যাত এই লিচু একসময় স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা পূরণ করে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ,গাজীপুর ও রাজধানীতে পাওয়া গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম এখন আকাশছোঁয়া। এছাড়া আকারে বড় ও রঙ আকর্ষণীয় করতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে চাষীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, চড়া দাম আর সাধ্যের বাইরে হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লিচুপ্রেমীরা পছন্দের ফল না কিনেই ফিরতে হচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

এদিকে জেলা শহরের বাজারগুলো ঘুরে কোনো ফলের দোকানে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর আগে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু বাজারে পাওয়া যেত। কিন্তু ব্যাপারীরা মালিকদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেওয়ায় এই লিচু এখন আর বাজারে আসেনা। চড়া দামের কিনে সেই লিচু বিক্রি করা সম্ভব না। বাহিরের লিচুর দাম যেখানে ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা সেখানে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর দাম ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। যার ফলে সাধারণ ক্রেতারা এ লিচু কিনতে পারছে না। আর এখন রপ্তানি লোভে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু পাওয়া যায়না। লিচু কিনতে গেলে বাগান মালিকরা লিচু বাহিরে রপ্তানি করবে বলে মজুদ করে রাখে।

লিচু ব্যবসায়ী তৌহিদ মিয়া জানান, ‘এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। একসময় এই লিচু মাথায় করে জেলা শহরসহ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ঢাকায় নিতে হত। এখন ভাইরাল হওয়ায় মানুষ সরাসরি বাগানে চলে আসে। অন্য অঞ্চলের থেকে মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর স্বাদ ও চাহিদা বেশি তাই লিচুগুলো দাম একটু বেশি। আর আমরা কৃষি অফিসেরর নিয়ম অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করেছি। কীটনাশক ব্যবহার না করলে পোকার আক্রমনে একটা লিচুও গাছে থাকবে না, সব ঝড়ে পড়বে।’

পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ নূর-ই আলম বলেন, ‘মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে প্রায় ৫ হাজারের বেশি লিচুগাছ রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। কীটনাশক ব্যবহারে আমরা লিচু চাষীদের বারবার সর্তক করেছি। আমরা কৃষকদের লিচু সংগ্রহের ১৫-২০ দিনে পূর্বে স্প্রেটা করতে বলেছি। যার ফলে সেই ফলটা খেলে কোনো ক্ষতি হবে না।‘