ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোসেনপুরে চাঞ্চল্যকর ভাই-বোন হত্যা মামলায়  চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৪১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কুড়িমারা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর (৩০) ও তার বোন নাদিরা (২১) হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। গ্রেফতাররা নিহতদ্বয়ের চাচি ও চাচাতো ভাইয়েরা ফরিদা খাতুন (৪১) মো. ইমরান (২৬), আরমান মিয়া (১৮) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় একজনের নাম জানানো হয়নি। তারা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো. শামসুল ইসলামের বাড়ির সামনে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন শামসুলের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করায় আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামসুলের বড় ছেলে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর, মেজো ছেলে হুমায়ুন কবীর, ছোট ছেলে সালমান, মেয়ে নাদিরা ও স্ত্রী শাহিদাকে জখম করেন।

তিনি বলেন, আসামিদের অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হুমায়ুন কবীর, সালমান, নাদিরা ও শাহিদাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে নাদিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই মারা যান। আহত অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এর আগে বুধবার বিকেলে এই জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল কাদির বিরোধপূর্ণ জমিতে চারাগাছ রোপণ করেন।

তার বড় ভাই শামসুল সেখান থেকে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকল ৬টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে পুনরায় অবশিষ্ট চারা রোপণ করতে গিয়ে আসামিরা দেখেন আগের দিনের লাগানো বাকি চারাগুলোও তুলে ফেলা হয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুলের বাড়িতে গিয়ে চারাগাছ উপড়ে ফেলায় গালিগালাজ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

হোসেনপুরে চাঞ্চল্যকর ভাই-বোন হত্যা মামলায়  চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আপডেট সময় : ০৪:২৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কুড়িমারা গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর (৩০) ও তার বোন নাদিরা (২১) হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। গ্রেফতাররা নিহতদ্বয়ের চাচি ও চাচাতো ভাইয়েরা ফরিদা খাতুন (৪১) মো. ইমরান (২৬), আরমান মিয়া (১৮) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় একজনের নাম জানানো হয়নি। তারা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মো. শামসুল ইসলামের বাড়ির সামনে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন শামসুলের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করায় আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামসুলের বড় ছেলে মাহমুদ হাসান ওরফে আলমগীর, মেজো ছেলে হুমায়ুন কবীর, ছোট ছেলে সালমান, মেয়ে নাদিরা ও স্ত্রী শাহিদাকে জখম করেন।

তিনি বলেন, আসামিদের অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হুমায়ুন কবীর, সালমান, নাদিরা ও শাহিদাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে নাদিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই মারা যান। আহত অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এর আগে বুধবার বিকেলে এই জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল কাদির বিরোধপূর্ণ জমিতে চারাগাছ রোপণ করেন।

তার বড় ভাই শামসুল সেখান থেকে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকল ৬টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে পুনরায় অবশিষ্ট চারা রোপণ করতে গিয়ে আসামিরা দেখেন আগের দিনের লাগানো বাকি চারাগুলোও তুলে ফেলা হয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুলের বাড়িতে গিয়ে চারাগাছ উপড়ে ফেলায় গালিগালাজ করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।