নিকলী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী কারার ইখতিয়ারুল আহম্মেদ শরীফ বলেছেন,’নির্বাচনকে বানচাল করতে দেশি বিদেশী শক্তি ষড়যন্ত্র করছে,সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করে যাবো’।
মঙ্গলবার দুপুরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে নিকলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,আমার ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি এত সুন্দর নির্বাচন দেখি নাই।এর আগে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে হয়েছিলো।এরপর একটি প্রতিপক্ষ দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভোট এবং ভাতের অধিকারকে বিনষ্ট করার জন্য মানুষকে ভোট কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছে দেশী এবং বিদেশী শক্তি।সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সর্বদায় আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
নিকলী উপজেলা যুবলীগ নেতা কারার ইখতিয়ারুল আহম্মেদ শরীফ আরো বলেন,সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল নির্বাচনের উদাহরণ নিকলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।নিকলী উপজেলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।বাকি সময়ে ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে মনে আমরা মনে করছি।কারন আজকে নিকলী উপজেলায় ভোট দেয়ার গণজোয়ার শুরু হয়েছে।মানুষ আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে ভোট দিতে এসেছেন।শিক্ষা অনুরাগী মানবতার ফেরিওয়ালা মোকাররম সর্দার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় আজকে নিকলীতে মানুষ এক আনন্দের ছোয়ায় ভেসে যাচ্ছে।আমরা শতভাগ আশাবাদী মোকাররম সর্দার আনারস প্রতীকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে।আমি উনার বিজয়ের আগেই উনাকে জানাতে চাই নিকলী জিসি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ হওয়ায় ভর্তির একটা সীমাবদ্ধতা চলে আসছে।তাই এখানে প্রতি বছর একশ থেকে দেড়শ ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে।প্রাইমারি পাস করে তারা হাইস্কুলের শিক্ষা টা গ্রহণ করতে পারছে না নিকলী সদরের শিক্ষার্থীরা।তাই নিকলী সদরে একটি হাইস্কুল নির্মাণ করার জন্য মোকাররম সর্দারকে আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো।আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি কুর্শা একটি জায়গা পাওয়া গেছে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারলাম।একলোক কুর্শা নিন্ম মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে জায়গা ক্রয় করেছে কিন্তু তিনি অর্থের অভাবে এগোতে পারে নাই।আমি আশা করবো মানবতার ফেরিওয়ালা শিক্ষা অনুরাগী মোকাররম সর্দার নিকলী সদরে একটি হাইস্কুল করবে করবে করবে এবং করতে হবে! এটার জন্য আমি আন্দোলন করবো।আমি এ জন্যই উনার নির্বাচন করতেসি যেন নিকলীর প্রতিটা ইউনিয়নে উনার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়।নিকলী যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়।তাহলে উনাকে যে আমি শিক্ষা অনুরাগী বলেছি তা নিকলীর মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হবে।মোকাররম সর্দার সারা বাংলাদেশে শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা শরীফ বলেন,মোকাররম সর্দার উপজেলা চেয়ারম্যান না হয়েও ৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।নিকলীর জনগণকে আমি ধন্যবাদ জানাই কৃতজ্ঞতা জানাই যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মাস চলছে যে ভিশন নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে এই বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেন ভোট এবং ভাতের অধিকারের জন্য, সেই ভোট এবং ভাতের অধিকারের প্রতিফলন এই নিকলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।মোকাররম সর্দার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নিকলীতে একটি মডেল নির্বাচনে পরিণত করেছেন।