ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত Logo ঈশ্বরগঞ্জ পুলিশের অভিযানে গরু চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার ৩টি গরু Logo বড়ইতলা স্মৃতিসৌধে নেমে এসেছে নীরবতা, হারিয়ে গেছে শ্রদ্ধা! Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। Logo তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo কিশোরগঞ্জে গরু চুরি নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০ Logo আঠারবাড়িতে তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকার জনগনের মাঝে প্রচার

২০০৮ সালের ২১ আগস্ট বিদায়, কিন্তু সৃষ্টিতে চিরঅম্লান

সংস্কৃতির আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৬৮৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের নাট্য ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন শৈশব থেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি জড়িয়ে পড়েন মঞ্চ, নাটক ও চলচ্চিত্রে।

তার লেখা ও নির্দেশিত অসংখ্য নাটক যেমন এখনো ক্রীতদাস, কোকিলারা, তোমরাই, মেরাজ ফকিরের মা আজও দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে গেঁথে আছে। চলচ্চিত্রে তিনি উপহার দেন সারেং বউ (১৯৭৮), এখনই সময় (১৯৮০), দুই জীবন (১৯৮৮)সহ বেশ কিছু কালজয়ী ছবি। এর মধ্যে সারেং বউ ছবির গান “ওরে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছুঁইয়া” আজও বাঙালির হৃদয়ে অমলিন।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৮), একুশে পদক (২০০০) এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

২০০৮ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। তবে তিনি আজও বেঁচে আছেন তার অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।

নাট্যগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা যায়—
“মানুষ বাঁচে তার কর্মে”—এই সত্যকে তিনি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন।

এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন।

২০০৮ সালের ২১ আগস্ট বিদায়, কিন্তু সৃষ্টিতে চিরঅম্লান

সংস্কৃতির আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের নাট্য ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন শৈশব থেকেই সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি জড়িয়ে পড়েন মঞ্চ, নাটক ও চলচ্চিত্রে।

তার লেখা ও নির্দেশিত অসংখ্য নাটক যেমন এখনো ক্রীতদাস, কোকিলারা, তোমরাই, মেরাজ ফকিরের মা আজও দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে গেঁথে আছে। চলচ্চিত্রে তিনি উপহার দেন সারেং বউ (১৯৭৮), এখনই সময় (১৯৮০), দুই জীবন (১৯৮৮)সহ বেশ কিছু কালজয়ী ছবি। এর মধ্যে সারেং বউ ছবির গান “ওরে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছুঁইয়া” আজও বাঙালির হৃদয়ে অমলিন।

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৮), একুশে পদক (২০০০) এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

২০০৮ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। তবে তিনি আজও বেঁচে আছেন তার অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।

নাট্যগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা যায়—
“মানুষ বাঁচে তার কর্মে”—এই সত্যকে তিনি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন।

এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন।