ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেলেন সেনাপ্রধান Logo আইফোন ১৭ সিরিজের ডিজাইনার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবিদুর চৌধুরী Logo ওএসডির ছয় মাস পর পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ডা. সাইফুল ইসলাম! Logo সুনামগঞ্জে এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়ক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী Logo পানছড়িতে হেফাজত ইসলামের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় ১২ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক Logo ফুলবাড়িয়ায় ৪৩ জনকে চোখের চিকিৎসা করালেন বিএনপি নেতা  Logo পদত্যাগের পর নেপালেই আছেন কেপি শর্মা ওলি Logo কেপি শর্মা ওলির পতনের পেছনে সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র হাত! Logo ভারত ও চীনের ওপর শত ভাগ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপকে ট্রাম্পের আহ্বান

দেশপ্রেম ও শিল্পী স্বাধীনতার মাঝখানে তৈরি বিতর্ক

শাকিব খান ও শিল্পীদের প্রতি রাজনৈতিক বিভ্রান্তি: শ্রদ্ধা ও সচেতনতার আহ্বান

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮৮৮৪১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বিনোদন জগত শুধু বিনোদন নয়, এটি দেশের সাংস্কৃতিক চেতনার অঙ্গ। এই জগতের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা শাকিব খান কেবল জনপ্রিয়তার প্রতীক নন, তিনি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্প্রতি তার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা শুধু তার নয়, দেশের অন্যান্য শিল্পীর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

শাকিব খান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—

> “আমার একটি পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমি কাউকে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য রাখিনি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের ত্যাগ কোনো রাজনৈতিক সীমারেখায় বাঁধা থাকা উচিত নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন—

“দেশে নানা ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে। আমি আশা করেছিলাম চিন্তাধারাতেও সেই সংস্কার দেখা যাবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এখনো অনেকেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। আমাদের বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

  শাকিব খান: ছবি সংগ্রহীত 

রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ানোর বিষয়ে শাকিব খান স্পষ্ট

> “আমাকে রাজনীতিতে টানার চেষ্টা বহুবার হয়েছে। কিন্তু আমি কখনো রাজনীতিতে যাইনি, যাবও না। সিনেমা আমার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। রাজনৈতিক কারণে অনেক সময় আমার পেশাগত কাজও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।”

শাকিব খান একমাত্র নন। বাংলাদেশের বহু শিল্পী—গায়ক, অভিনেতা, সাহিত্যিক—ও মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপরাধে জড়িত হয়েছেন; আবার অনেকেই শুধু জাতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য পোস্ট দিলেও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ধরনের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র শিল্পীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে না, দেশের সাংস্কৃতিক সম্ভাবনাকেও সীমাবদ্ধ করে।

বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই মাসে দেশে রাজনৈতিক বাস্তবতা গড়ে উঠেছে, এবং শিল্পীদের নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আমরা কেমন, যেখানে যারা সিনেমা, সংগীত, অভিনয় দিয়ে দেশের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের বারবার রাজনৈতিক দড়িতে বেঁধে ফেলা হয়? শিল্পীকে যদি কেবল দলীয় পতাকার তলে দাঁড় করানো হয়, তাহলে সংস্কৃতির আত্মা কোথায় দাঁড়াবে?

শাকিব খানের বক্তব্য স্পষ্ট শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা কোনো অপরাধ নয়। একজন শিল্পীর শক্তি রাজনৈতিক প্রভাব নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ায়। বিভাজন নয়, ঐক্য ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে দেশকে পরিচিত করা সম্ভব।

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় শিল্পীর স্বাধীনতা রক্ষা, দেশপ্রেমের বার্তা বিভাজনের হাত থেকে বাঁচানো, এবং সাংস্কৃতিক মানুষদের সম্মান বজায় রাখা এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব।

এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন

দেশপ্রেম ও শিল্পী স্বাধীনতার মাঝখানে তৈরি বিতর্ক

শাকিব খান ও শিল্পীদের প্রতি রাজনৈতিক বিভ্রান্তি: শ্রদ্ধা ও সচেতনতার আহ্বান

আপডেট সময় : ১১:১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের বিনোদন জগত শুধু বিনোদন নয়, এটি দেশের সাংস্কৃতিক চেতনার অঙ্গ। এই জগতের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা শাকিব খান কেবল জনপ্রিয়তার প্রতীক নন, তিনি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্প্রতি তার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা শুধু তার নয়, দেশের অন্যান্য শিল্পীর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

শাকিব খান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—

> “আমার একটি পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমি কাউকে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য রাখিনি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের ত্যাগ কোনো রাজনৈতিক সীমারেখায় বাঁধা থাকা উচিত নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন—

“দেশে নানা ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে। আমি আশা করেছিলাম চিন্তাধারাতেও সেই সংস্কার দেখা যাবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এখনো অনেকেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। আমাদের বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

  শাকিব খান: ছবি সংগ্রহীত 

রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ানোর বিষয়ে শাকিব খান স্পষ্ট

> “আমাকে রাজনীতিতে টানার চেষ্টা বহুবার হয়েছে। কিন্তু আমি কখনো রাজনীতিতে যাইনি, যাবও না। সিনেমা আমার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। রাজনৈতিক কারণে অনেক সময় আমার পেশাগত কাজও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।”

শাকিব খান একমাত্র নন। বাংলাদেশের বহু শিল্পী—গায়ক, অভিনেতা, সাহিত্যিক—ও মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপরাধে জড়িত হয়েছেন; আবার অনেকেই শুধু জাতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য পোস্ট দিলেও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ধরনের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র শিল্পীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে না, দেশের সাংস্কৃতিক সম্ভাবনাকেও সীমাবদ্ধ করে।

বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই মাসে দেশে রাজনৈতিক বাস্তবতা গড়ে উঠেছে, এবং শিল্পীদের নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আমরা কেমন, যেখানে যারা সিনেমা, সংগীত, অভিনয় দিয়ে দেশের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের বারবার রাজনৈতিক দড়িতে বেঁধে ফেলা হয়? শিল্পীকে যদি কেবল দলীয় পতাকার তলে দাঁড় করানো হয়, তাহলে সংস্কৃতির আত্মা কোথায় দাঁড়াবে?

শাকিব খানের বক্তব্য স্পষ্ট শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা কোনো অপরাধ নয়। একজন শিল্পীর শক্তি রাজনৈতিক প্রভাব নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ায়। বিভাজন নয়, ঐক্য ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে দেশকে পরিচিত করা সম্ভব।

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় শিল্পীর স্বাধীনতা রক্ষা, দেশপ্রেমের বার্তা বিভাজনের হাত থেকে বাঁচানো, এবং সাংস্কৃতিক মানুষদের সম্মান বজায় রাখা এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব।

এমএইচ মানিক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন