ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

তাড়াইল চোর সন্দেহে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

Rayhan Zaman
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৮ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পুরুড়া বাজারে চোর সন্দেহের আরমান (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত আরমান (৩০) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বানিয়াকান্দি গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরমান একজন অটোরিকশা চালক। তিনি গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় তাড়াইল উপজেলার পুরুড়া বাজারে যাত্রী নামিয়ে বাড়িতে আসার পথে তাড়াইলিউপজেলার চিকনী গ্রামের লিটন খান,সাব্বি,রফিকুলসহ আরও বেশ কয়েকজন চোর সন্দেহহে আরমানকে গণপিটুনি দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে আরমানের বাবাকে খবর দিলে আরমানের বাবা এলাকাবাসী নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরমানকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত আরমানের স্ত্রী মোছা. মাইমুনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন অটোরিকশা চালক। তিনি রাতে এগারোসিন্ধুরের ভাড়া ধরে নানা স্থানে যাত্রীদের পৌঁছে দিতেন। ওই দিন রাতে তিনি যাত্রী নিয়ে তাড়াইল যান। সেখানকার কিছু মানুষ রাতে তাকে পেয়ে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে আমার শশুর খবর পয়ে এলাকার লোকজন নিয়ে তাড়াইল থেকে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি নিশ্চিত আমার স্বামী নির্দোষ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে চোরের অপবাদ দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

তাড়াইল চোর সন্দেহে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ১১:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পুরুড়া বাজারে চোর সন্দেহের আরমান (৩০) নামে এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত আরমান (৩০) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল বানিয়াকান্দি গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরমান একজন অটোরিকশা চালক। তিনি গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় তাড়াইল উপজেলার পুরুড়া বাজারে যাত্রী নামিয়ে বাড়িতে আসার পথে তাড়াইলিউপজেলার চিকনী গ্রামের লিটন খান,সাব্বি,রফিকুলসহ আরও বেশ কয়েকজন চোর সন্দেহহে আরমানকে গণপিটুনি দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে আরমানের বাবাকে খবর দিলে আরমানের বাবা এলাকাবাসী নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরমানকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত আরমানের স্ত্রী মোছা. মাইমুনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন অটোরিকশা চালক। তিনি রাতে এগারোসিন্ধুরের ভাড়া ধরে নানা স্থানে যাত্রীদের পৌঁছে দিতেন। ওই দিন রাতে তিনি যাত্রী নিয়ে তাড়াইল যান। সেখানকার কিছু মানুষ রাতে তাকে পেয়ে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে আমার শশুর খবর পয়ে এলাকার লোকজন নিয়ে তাড়াইল থেকে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি নিশ্চিত আমার স্বামী নির্দোষ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে চোরের অপবাদ দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আলী আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।