ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

এনসিপিকে নিয়ে যুবদল নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্য

পাকুন্দিয়ায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সভায় হট্টগোল, এনসিপির বয়কট

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৪০১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠান বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করে।

মঙ্গলবার (০৫ অগাস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় পাকুন্দিয়া উপজেলা কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ বিশেষত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

অনুষ্ঠানটি কুরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বে একজন আহত জুলাই যোদ্ধা যুবদল নেতা রবিউল ইসলামকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি তাঁর বক্তব্যে এনসিপিকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। যা উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে।

এ প্রেক্ষিতে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাজিন সালেহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা ভুলে গেলে চলবে না, জনাব নাহিদ ইসলাম ছিলেন এক দফার ঘোষক।’এই মন্তব্যের পরপরই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করে বলেন, এক দফার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, এক দফার ঘোষক তারেক রহমান।

এই হট্টগোলের ফলে সভাস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন রাজিন সালেহের বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন এবং তাঁকে অনুষ্ঠান ত্যাগের নির্দেশ দেন। এনসিপি এই আচরণকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভা বয়কট করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এনসিপির নেতারা

এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং অনেকে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

এনসিপিকে নিয়ে যুবদল নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্য

পাকুন্দিয়ায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সভায় হট্টগোল, এনসিপির বয়কট

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠান বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করে।

মঙ্গলবার (০৫ অগাস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় পাকুন্দিয়া উপজেলা কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ বিশেষত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

অনুষ্ঠানটি কুরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বে একজন আহত জুলাই যোদ্ধা যুবদল নেতা রবিউল ইসলামকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি তাঁর বক্তব্যে এনসিপিকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। যা উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে।

এ প্রেক্ষিতে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাজিন সালেহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা ভুলে গেলে চলবে না, জনাব নাহিদ ইসলাম ছিলেন এক দফার ঘোষক।’এই মন্তব্যের পরপরই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করে বলেন, এক দফার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, এক দফার ঘোষক তারেক রহমান।

এই হট্টগোলের ফলে সভাস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন রাজিন সালেহের বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন এবং তাঁকে অনুষ্ঠান ত্যাগের নির্দেশ দেন। এনসিপি এই আচরণকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভা বয়কট করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এনসিপির নেতারা

এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে এবং অনেকে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।