Usa election এ ঈমান জোদেহ ফিলিস্তিনি নারীর জয়।Usa election এ ডেমোক্র্যাট দল থেকে মনোনীত বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থেকে এবার রেকর্ড মুসলিম প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত ঈমান জোদেহ। Joe Biden এর নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিসেবে কালারয়েডো এলাকার রিপাবলিকান প্রার্থী রবার্ট এনড্রিউসকে হারিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে জয় পেয়েছেন তিনি।
টুইটারে জয়ের খবর জানিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে নিজের ঈমান জোদেহ বলেন, আমি পেরেছি। আমি সবার জন্য স্বপ্নের আমেরিকা বিনির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করব। আমি একজন মুসলিম হিসেবে গর্বিত ও ফিলিস্তিনি আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।
আমি আমেরিকার নতুন প্রজন্ম। আর আমি আমার কালারয়েডো রাজ্যের যাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব আমার সেই কমিউনিটি ও জনগণের জন্য গর্ববোধ করছি। এখন আমার কাজের সময়। ঈমান জোদেহ এমন একজন ডেমোক্র্যাট যিনি কালারয়েডো রাজ্যের হাউজ ডিস্ট্রিক্ট ৪১-এর ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম আইনপ্রণেতা।
এর আগে ফিলিস্তিনি আমেরিকান হিসেবে পুনরায় জয় পেয়েছেন মিশিগানের রাশিদা তালিব। এছাড়া মুসলিম নারী হিসেবে মিনেসোটা থেকে কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন ইলহান ওমর।
ঈমান জুদেহর বাবা মোহাম্মদ ও মা সিহাম অভিবাসী ও শরণার্থী হিসেবে ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কালারয়েডোয় আসেন। ঈমান জুদেহ জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছেন। কালারয়েডো রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ঈমান জুদেহ কালায়েডো উইমেন্স লবির বোর্ড মেম্বার।
নিজের ওয়েবসাইটে ঈমান জুদেহ লিখেছেন, আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভাষা যাতে ভুলে না যাই সেজন্য আমার বাবা-মা গ্রীষ্মে ফিলিস্তিনে নিয়ে যান।
এদিকে Usa election এ সব দিক থেকেই জমে উঠেছে। বিশেষত President Election এর জন্য ইলেকটোরাল ভোটের হিসাব বেশ টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। কোনো খেলার চেয়েই কম নয় এ উত্তেজনা। এখন পর্যন্ত দুই প্রার্থী প্রেসিডেন্ট Donald Tramp ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট Joe Biden এর মধ্যে কে নিশ্চিতভাবে জিততে যাচ্ছেন, তা বলার সুযোগ নেই। এমনকি দুই প্রার্থী সমান ইলেকটোরাল ভোটও পেতে পারেন।
হ্যাঁ, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোয় ভোট গণনা যত এগোচ্ছে বাইডেনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসাবমতে, জো বাইডেন ২৫৩ ও ট্রাম্প ২১৪ ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া নিশ্চিত।
তবে মুশকিল হলো এর পরের হিসাব নিয়েই। ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ ভোটের মধ্যে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু জর্জিয়া (১৬), পেনসিলভানিয়া (২০), নেভাদা (৬), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৫) ও অ্যারিজোনায় (১১) যেভাবে ফল পাল্টাচ্ছে, তাতে আগে থেকে কিছু বলবার আর সুযোগ নেই।