সপ্তাহজুড়ে ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নামা ঢলে দেশের অন্তত ১০ জেলা স্মরণকালের বন্যাকবলিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা বদলে দিয়েছে অনেক হিসেব–নিকেশ। কঠিন করে দিয়েছে জনজীবন। কিন্তু যারা স্বপ্ন দেখেন দুনিয়া জয়ের এবং প্রতিনিয়ত মন থেকে অনুপ্রাণিত হন নতুন কিছু করার; তারা থেমে নেই। তারুণ্যের জয়গান গেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দাঁড়াচ্ছেন।
দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভলানটিয়ার কর্মীগণ সোমবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে ২০ জনের স্বেচ্ছাসেবক টিম ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ট্রাকে করে বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছেছেন।কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী’র সার্বিক সহযোগিতার ও নির্দেশনায় বন্যা কবলিত কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে জরুরি ঔষধ, শুখনো খাবার, বাচ্চাদের খাবার এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেছে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভলানটিয়ার কর্মীগণ।
এসময় ভলানটিয়ার কর্মীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন আকাশ, মো. মোশাররফ হোসেন, আসিফ মাহমুদ ধ্রুব, নাওয়াযীশ আলি মুগ্ধ, অলিউল্লা রাব্বানী, হাসানাল মামুন নিলয়, তানভীর হাসান, তাওহীদ, ফয়েজ আহম্মেদ মামুন, মো. সানি, অপূর্ব জামান জিহাদ, মো. মুসাব্বির হোসেন প্রিয়ন্ত, মাহাদী হাসান চাঁদ, আতিকুর রহমান, আহসান হাবীব, মো. তোফাজ্জল রাজ, শেখ সাব্বির আহম্মেদ, নাইমুল ইসলাম নাইম ও তানভীর আলম মাহী।
এছাড়াও যে-সকল সংগঠন সার্বিক সহযোগিতা ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভলানটিয়ার কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন সে সকল সংগঠন গুলো হলো, কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভলানটিয়ার, রোভার স্কাউটস, সূর্যোদয় সংগঠন ও কিশোরগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য দেশের যেকোনো দুর্যোগে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভলানটিয়ার কর্মীগণ স্বেচ্ছাশ্রমে দুর্গত লোকজনদের সেবা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি মেডিসিন, শুখনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বাচ্চাদের খাবার ও মানুষদের উদ্ধার করে পাশে আছে।