আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে ভোটারদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। এ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী। তার নেতৃত্বগুণ, সরল জীবনধারা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তরুণ থেকে প্রবীণ-সকল শ্রেণির ভোটারদের মধ্যে বিশেষ আস্থা তৈরি করেছে।

ভোটারদের মতে, মাঠের রাজনীতিতে ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী এমন একজন নেতা যিনি আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় সক্রিয় থেকেছেন। অথচ ব্যক্তিস্বার্থ কিংবা ক্ষমতার রাজনীতির সঙ্গে কখনো আপস করেননি। নোংরা রাজনীতির দৌরাত্ম্যের সময়ে তিনি আড়ালে থাকলেও সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছেন এবং কর্মীদের পাশে থেকেছেন। তার এই নীরব লড়াই, ত্যাগ ও সততা বহু তরুণ রাজনীতিকের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক।

এর বাস্তব প্রমাণ মেলে গত ২৯ অক্টোবর ধানের শীষের সমর্থনে জেলা শহরজুড়ে ভিপি রাব্বানীর অনুষ্ঠিত বিশাল পদযাত্রা ও গণসংযোগে। হোসেনপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তার গণসংযোগে প্রবীণ ভোটারদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া মিলেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ ভোটাররা তার সততা, নৈতিকতা ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন। ফলে মাঠের রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুজ্জামান পার্নেল বলেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ভোটের সমীকরণ নির্ভর করছে ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের উপস্থিতির ওপর। সেই জায়গায় ভিপি রাব্বানী অনেকটা এগিয়ে।

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান রহমান ওয়াকিউর বলেন, ধানের শীষের জন্য হোসেনপুর থেকে শহর পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামে যিনি মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন তিনি একমাত্র রাব্বানী ভাই। মানুষ তাকে চেনে, বিশ্বাস করে।

মাঠ পর্যায়ে রাব্বানীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড  বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা গেছে উচ্ছ্বাস ও ঐক্য। তরুণরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রচারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

ভিপি ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী বলেন, একটি সুজলা-সুফলা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুর দুটো নামের একটি পরিবার। রাজনীতি ও জনকল্যাণ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ১৯৮১ সাল থেকে আমার যে পদযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজও অব্যাহত। কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়নই আমার চিন্তা ও চেতনার কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান এবং কৃষিজ খাতসহ যেসব সেক্টর নানা সমস্যায় জর্জরিত সেগুলো চিহ্নিত করে দেশনেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৯ দফা ও ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানে আমি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নতুন সৃষ্টির চিন্তা সবসময় আমাকে উদ্দীপিত করে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অত্যন্ত জরুরি। তাই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আধুনিকায়নসহ প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আমরা কাজ করে যাব।

রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনা দলীয় প্রতীক নয়, প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা ও আড়াল থেকে করা ত্যাগের গল্পই নির্ধারণ করবে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের ভোটযুদ্ধ। আর সেই পরীক্ষায় অনেকের কাছেই ভিপি ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী এখন একমাত্র ভরসাস্থল।