বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে এই অ্যাপস অনুমোদন দেয়ার আগে নিজস্ব আইটি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পর্যালোচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্ত্বশাসিত ৪ বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট তাদের একাডেমিক কাউন্সিলে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে এইচএসসিতে পরীক্ষা ছাড়াই অটো পাস। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কঠিন প্রতিযোগিতায়, পরীক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। কিভাবে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় অনলাইনে পরীক্ষার নীতিগত সিদ্ধান্তের পর একটি মোবাইল অ্যাপস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
শিশুরা সুন্দরভাবে বাঁচবে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে অ্যাপসটি তৈরি করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে এটি ডাউনলোড করে লগ ইন করতে হবে। ভেরিফিকশনের কয়েকটি ধাপ পার হয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবে ভর্তিচ্ছুরা।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ‘ঠিক’ চিহ্ণ আর লিখিত পরীক্ষায় খাতার ছবি আপলোড করতে হবে। কিভাবে এই সফটওয়্যার কাজ করবে তার বিস্তারিত বলছিলেন উপাচার্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ‘ভেরিফিকেশ পরবর্তীতে ক্যামেরা আর সাউন্ড রেকর্ড করতে থাকবো। সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
অনলাইনে পরীক্ষা হলে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে একাডেমিক কাউন্সিল।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অ্যাপসটি আমরা ভালোভাবে পর্যালোচনা করবো। এটি বিশেষজ্ঞরা দেখবেন। তারপর কোথায় কোথায় ব্যবহার করতে পারি সেটা দেখবো।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববদ্যিালয়-বুয়েট সব ধরণের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। অনলাইনে পরীক্ষা হলে নিজস্ব প্রযুক্তিতেই নিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়টি জানালেন বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
এদিকে, ৪ টি স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট ছাড়া বাকী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস্টার বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় রাজী হয়েছে।