নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে জেলা, সদর উপজেলা ও পৌরসভা জাতীয় পার্টির। কাগজে-কলমে বাকি উপজেলাগুলোতেও আছে দলটি। তবু সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রমে দেখা যায় না নেতা-কর্মীদের। এ যেন থেকেও নেই অবস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রোকনায় জাতীয় পার্টির সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয় ২০১৮ সালে। সম্মেলনে অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খানকে সভাপতি ও মান্নান খান আরজুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টিতে রয়েছেন ১০৯ সদস্য, সদর উপজেলা ও পৌরসভায় রয়েছেন ৭১ জন করে সদস্য এবং ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পৌরসভার পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে ১০টি উপজেলায়। এরপরও রাজনীতির মাঠে দেখা নেই দলটির নেতা-কর্মীদের। করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকেই যেন তারা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন।
জনগণের ভাষা বুঝতে না পারাই বিএনপির ব্যর্থতা: কাদের
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা-উপজেলার নেতারা কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমেই মাঠে থাকেন না। এ কারণে কর্মীরাও অংশগ্রহণ করে না। এতগুলো কমিটি, এত এত নেতা-কর্মী শুধু কাগজ-কলমেই আছে। রাজনীতির মাঠে কোনো অস্তিত্বই নেই। আবার কিছু নেতা দলীয় পদ পেতে সমর্থকদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করছেন। যা দল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে কর্মীদের।
স্থানীয়রা জানায়, সাম্প্রতিক করোনা মহামারিতে নেত্রকোনার কোথাও অসহায়-কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের। শুধু নির্বাচন এলেই ভোট চাইতে মানুষের দরজায় হাজির হয় তারা। ভোট শেষে আবারো হারিয়ে যায়। এভাবেই চলছে নেত্রকোনা জাতীয় পার্টির কার্যক্রম।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান আরজু বলেন, নেত্রকোনা জাতীয় পার্টিতে কোনো কোন্দল নেই। কিছু নেতা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। এসবের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। নেত্রকোনাকে ভোট ব্যাংক বানাতে জেলা জাতীয় পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা জাতীয় পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী খান বলেন, শুধু কাগজ-কলমেই নয়; রাজনীতির মাঠেও শক্ত অবস্থানে রয়েছে জেলা জাতীয় পার্টি। নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছে। কিছু নেতার কারণে দলের ত্যাগী কর্মীদের আমরা হারাতে পারি না। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐ্যক্যবদ্ধ করে নেত্রকোনায় জাতীয় পার্টির রাজনীতি আরো শক্তিশালী করা হবে।