আ.লীগ শান্তি সমাবেশের নামে শান্তি কমিটির ভূমিকা পালন করছে-হাবিব উন-নবী খান
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে গুন্ডাতন্ত্র কায়েম হয়েছে। পোশাকধারী আর অপোশাকধারী গুন্ডাদের দিয়ে বর্তমান সরকার দেশ চালাচ্ছেন। কোনো বাহিনীই কখনো দীর্ঘস্থায়ী অবৈধ কোনো কিছু রক্ষা করতে পারে না। বিএনপি জনগণের দল। জনগণের সমাবেশকে প্রতিহত জন্য আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছেন। যে সমাবেশ রাজাকার বাহিনীর গঠিত শান্তি কমিটির ভূমিকা পালন করছেন। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে, সে গর্তে নিজেকে পড়তে হয়। এটা মনে রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে শান্তি কমিটির ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল। তিনি আজ শনিবার (২৭মে) গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র আয়োজনে সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার সাধারণ জনগণের ভোট ছাড়া সরকার। তাই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ জানেন এই জনগণ তাদের ভোট দেয় না এবং ভবিষ্যতে দিবে না। সে জন্য দ্রব্য মূল্যর দাম বৃদ্ধি করে জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্য বক্তব্য দেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল।
সরকারকে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, আজ ক্ষমতায় আছেন, কাল থাকবেন না। রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করবেন না। দেশের মানুষ অনেক আগেই এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করছেন। তবে গত তিন চার দিন আগে বিশ্বের জনগণও তাদের প্রত্যাখ্যান করছেন। আওয়ামী লীগের মধ্য নরম সুরের বাতাস শুরু হয়ে গেছে। সময় আর বেশি নাই পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। জনগণের ওপর যে অত্যাচার করছেন দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে পালাতেও দিবে না। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন এর হিসাব জনগণ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে পইপই করে হিসাব নিবে।
সমাবেশে সকাল ১০ থেকে বিভিন্ন থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। পরে দুপুর ১২ থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই সমাবেশ চলে।
ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের কঠোর সমালোচনা করে সোহেল বলেন, এই আইন নিরীহ জনগণের ওপর প্রয়োগের আইন। এই আইন বাতিল না হলে পরবর্তীদের তাদের ঘাড়েই ওপরই গিয়ে পড়বে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক আব্দুল খালেক বলেন, ‘এই সরকারের পায়ে নিচে আর মাটি নেই। তারা আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের ভেতরে ভয়, মুখে চাপার ওপর ভর করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন।