জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের এএসআই’সহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ফরিদ, শালঘরমধুয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে রাশিদুল হককে (৩৫) ও মৃত চাঁদ আলীর ছেলে ফারুক (৩৮)। অন্যদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রভাষক আলী ও তোফাজ্জেল গ্রুপের সঙ্গে জাফর ও লিটন গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে গত ৪ এপ্রিল জাফরের সমর্থক আরিফ তোফাজ্জেলের এলাকায় রোগী দেখতে যান। এ সময় চোর সন্দেহে আরিফকে বেধড়ক মারপিট করে প্রতিপক্ষরা।
এনিয়ে ২ দিন পর গত ৬ এপ্রিল উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে জাফর গ্রুপের মুকুল ও তোফাজ্জেল গ্রুপের ওয়াদুদ আহত হন। এছাড়া উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তোফাজ্জেল গ্রুপের সমর্থকরা জাফর গ্রুপের ফারুক, রাশিদুলসহ অন্যান্যদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালালে তারা বাধা দেন। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিব হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয় নিয়ে থানায় ২টি মামলা রয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে হঠাৎ দুই গ্রুপ ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে।