আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে আ.লীগ দিশেহারা-রিজভী
আস্থা ডেস্কঃ
আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ জন্যই নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। বিএনপির কোনো কর্মসূচি হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। গত এক বছরে আমাদের ২০ জন নেতাকে তারা হত্যা করেছে। কেউ চোখ হারাচ্ছেন, পা হারাচ্ছেন, শরীর দগ্ধ হচ্ছে। তারপরও তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষের সমাগম দেখে ওবায়দুল কাদের বিভ্রান্তিতে ভোগেন। আমি আগেও বলেছি ওবায়দুল কাদের শারীরিক ও মানসিক দুই দিক দিয়েই অসুস্থ। তিনি বিভ্রান্ত। নিজেই জানেন না কখন কী বলেন। তার উচিত বিশ্রাম নেওয়া। ওবায়দুল কাদের নিজের কথাই ভুলে যান। তিনি ডিমেনশিয়া রোগে ভুগেন। কিছুদিন আগে তিনি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। আবার তিনিই নেতাকর্মীদের বলেন, তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হও, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কেউ দেশে টিকে থাকতে পারবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে এক লাখ লোক মারা যাবে। যদি বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজেই যায় তাহলে এত শঙ্কা কেন? এখনও সময় আছে, দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বাস্তবায়ন করুন। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি নয়, এটি জনগণের দাবি।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ ও সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
রিজভী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে নীতি-নৈতিকতা, সত্য কথা, সত্যবাদিতা সব উঠে গেছে। বাংলাদেশ গুম, খুন, অপহরণের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। যে সত্য কথা বলে তাকেই ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। দেশে সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করায় আজ মাহমুদুর রহমানের মতো মানুষের সাজা পেতে হচ্ছে। শেখ হাসিনার আদালতে এসব সত্যের সাজা হচ্ছে। এটি স্পষ্ট প্রহসন।