আফগানিস্তানে আবারও গণতন্ত্র ফেরাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন!
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা-কর্মকর্তাসহ সব বিদেশি। এর আগেই কাবুলের দখল নেওয়া তালেবান ক্রমেই পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। কিছুদিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি তালেবানের ওপর কোনো হামলা না চালালেও তাদের বিপাকে ফেলতে দেশটির রিজার্ভ আটকে দেওয়া, সামরিক সরঞ্জাম নষ্ট করে দেওয়াসহ সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। খবর বিবিসির।
পশ্চিমী সামরিক সূত্রগুলো দাবি করছে, এবার আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী লড়াইয়ের জন্য নতুন একজনকে খুঁজে পেয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। সাবেক আফগান সরকারের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাতের নেতৃত্বে দ্রুত আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে হামলা চালানো শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ‘বহুল আকাঙ্ক্ষিত’ গণতন্ত্র ফেরানো হবে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি বলেন, শিগগিরই নতুন করে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই শুরু করবেন তারা। এবার ঐক্যবদ্ধভাবে অভিযান চালিয়ে আমরা তালেবানকে হঠাব।
একটি খবরে দাবি করা হয়, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা গুপ্তচর সংস্থা এমআই-৬-এর তত্ত্বাবধানে এরই মধ্যেই সে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তে এর মধ্যেই জোরদার তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে ।
সামি সাদাত দাবি করেন, গত আট মাসে অনেক আফগান বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, সামরিক পদক্ষেপই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, আফগানিস্তানকে তালেবান থেকে মুক্ত করতে এবং সেখানে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের সাধ্যে সম্ভব সব কিছুই করবো। লড়াইয়ের নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতা ফিরে না পাব ততক্ষণ লড়াই চালিয়ে যাবো।
তালেবানের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, আফগানিস্তানে এখন রাজনৈতিক উদ্দেশে পবিত্র কোরআনের বিধিনিষেধ ব্যবহার করা, ভুল উদ্ধৃতি, ভুল ব্যাখ্যা আর অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। সামি দাবি করেন, প্রতিদিন তিনি আফগানদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে করণীয় জানতে চেয়ে শত শত বার্তা পাচ্ছেন।
এর আগে সামি দীর্ঘদিন দক্ষিণ আফিগানিস্তানে তালেবানবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত আগস্টে তিনি লন্ডন চলে যান। জানা গেছে, তালেবানবিরোধী জোট নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের নেতা আহমেদ মাসুদ ও সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও সামির সহযোগী হচ্ছেন।
পশ্চিমা বাহিনী দাবি করছে, সালেহর বাহিনী এখনও উত্তর আফগানিস্তানের কিছু এলাকায় তালেবানবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিল মাসেও তাজিকিস্তান সীমান্ত এলাকায় তালেবানের সঙ্গে সালেহ বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।