ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতকে পাশে পাচ্ছেন পুতিন
আস্থা ডেস্কঃ
ভারতের গোয়ায় শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাইড টেবিল বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে উঠে এসেছে ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার প্রসঙ্গ। ভারতকে ড্রোন হামলার প্রতিশোধের বিষয়টিও জানিয়েছেন লাভরভ।
একই সূত্রের খবর, ক্রেমলিনে হামলার নিন্দা করেছেন জয়শঙ্কর। ইউক্রেন তাদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেও রাশিয়া তা বিশ্বাস করেনি। শুক্রবার (৫ মে) জয়শঙ্কর-লাভরভ আলোচনায় রাশিয়ার বক্তব্য খণ্ডন করতে চায়নি ভারত। যদিও বৈঠকের পরে এই দুজনের কেউই সরকারিভাবে মুখ খোলেননি।
বৈঠক প্রসঙ্গে জয়শঙ্করের টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সামগ্রিক পর্যালোচনা হয়েছে। এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রের সভাপতিত্বকরছে ভারত। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সমর্থনে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি। এছাড়া জি-২০ এবং ব্রিকস নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পরে রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে প্রচ্ছন্নভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, ইউক্রনের সঙ্গে যুদ্ধে এই মুহূর্তে নয়াদিল্লিকে পাশে পাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সের্গেই লাভরভের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে আসন্ন বৈঠকসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আস্থাপূর্ণ মতবিনিময় হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সমসাময়িক বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠেছে। আমাদের দেশের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের প্রধান দিকগুলোতে যেভাবে সহযোগিতা সর্বদা চালু রয়েছে তার প্রশংসা করেছেন মন্ত্রীরা।
কিন্তু একই সঙ্গে নয়াদিল্লি মস্কোর কাছে দাবি জানাচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যে ভারসাম্যের অভাব রয়েছে (অর্থাৎ রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানি অনেক বেশি রপ্তানির তুলনায়), তা কমাতে হবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং অস্ত্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে লেনদেন করা যে সমস্যার তা টের পাচ্ছে দুই দেশই।