অনলাইন ডেস্কঃপবিত্র ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কর্মদিবসেও মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কম গ্রাহক সংখ্যা। অনেকটা ঢিলেঢালা পরিবেশেই চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম।
সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় ব্যাংকগুলোতে সেই চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। তাই কাজের ফাঁকে গল্প গুজব ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকে।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদের ছুটির পর আজ দ্বিতীয় দিন। লেনদেনসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। তবে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম। ঈদের পর চাপ কম থাকাটাই স্বাভাবিক। এ সপ্তাহ এভাবেই চলবে।
তবে আজও সঞ্চয়পত্রের কাউন্টারে গ্রাহকদের ভিড় রয়েছে। কারো সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে আবার অনেকে নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনছেন।
বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের নবাবপুর শাখার এক কর্মকর্তা জানান, কিছু গ্রাহক আসছেন। লেনদেন তুলনামূলক কম। ঈদের পর কয়েকদিন এমনই চলে। কারণ এখন বেশির ভাগ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ আসছেন না। আগামী সপ্তাহে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সোনালী ব্যাংকের টাকা জমা দিতে আসা গ্রাহক আকরাম হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানের একটি বিল জমা দিতে হবে। আজ শেষ দিন, তাই জমা দিতে এসেছি। ব্যাংকে গ্রাহক কম, পাঁচ মিনিটেই জমা দিলাম। অন্যসময় ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যেত।
সাধারণ নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে হিসেব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে ১৩ মে থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তাই ১২ মে (২৯ রমজান) শেষ কর্মদিবস অফিস হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ঈদের ছুটি শুরু হয়। শুক্রবার উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। শনিবারও ছিল ঈদের ছুটি। যদিও সরকার ঘোষিত তিন দিনের মধ্যে শুক্র ও শনিবার দুদিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি।
মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। এর পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হয়েছে সকাল ১০টায়, চলবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।