উচ্চ রক্তচাপ একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এমনকি এটি হৃদরোগ এবং ভবিষ্যতে স্ট্রোকের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। রোগটি প্রতিরোধ করতে কিছু খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।উচ্চ রক্তচাপ বন্ধ করার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। ফল-মূল, শাক-সবজি, কম চর্বিযুক্ত দুধ, মাঝারি মাছ, আধাসেদ্ধ শস্য, পরিমাণমতো মুরগি এবং বাদামযুক্ত খাবার খেতে বলা হয়। এমনকি সামুদ্রিক মাছ উচ্চ রক্তচাপ রোধের জন্য উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যে ২৫ হাজার মানুষেরও ওপর উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে তারা শরীরে রক্তচাপের স্তর ভালোভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।গবেষণায় দেখা গেছে, চা, স্ট্রবেরি এবং আপেলের মতো খাবারগুলোর গ্রহণের ফলে রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং আপনিও এ খাবার গ্রহণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।যে খাবারগুলো রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে, তা আরও বেশি খাওয়া উচিত-
ফল: কমলা, আঙুর এবং লেবুর মতো ফলে ভিটামিন সির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। এগুলোতে ক্যারোটিনয়েডস, ফেনলিক অ্যাসিড, স্নেফ্রিন এবং লিমোনয়েডের মতো অন্যান্য উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ পুষ্টিগুলো রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস করতে এবং হৃদরোগকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
দই: দই একধরনের পুষ্টিকর ঘন খাদ্য। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। দই ভিটামিন বি, খনিজ যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন পরিমাণমতো দই খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি ১৩ শতাংশ কমাতে পারে।
কুমড়ার বীজ: আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কুমড়ার বীজ কার্যকর বলে বিবেচিত। এটি অন্যান্য ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাদে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আর্গিনিনের উচ্চ ঘনত্বের কারণ। এমনকি কুমড়ার বীজের তেল উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী।
মাছ: চর্বিযুক্ত প্রোটিনের উৎস ছাড়াও সলমন, টুনা, ম্যাকেরল, সার্ডাইন্স এবং অ্যাঙ্কোভির মতো ফ্যাটযুক্ত মাছে ভিটামিন এবং খনিজ ভরপুর থাকে। যেগুলোয় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। তাছাড়া মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা ব্ল্যাকবেরি আপনার রক্তচাপকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। বেরিগুলো কেবল ফ্ল্যাভানলে ভরপুর নয়। এতে এন্টোসায়ানিন্সের মতো অন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর উচ্চ মাত্রা রয়েছে। বেরির অন্য ভিটামিন এবং খনিজগুলো উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।