অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় করোনা ভ্যাকসিন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় নাগরিক চন্দ্রাবলী জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এ মুহূর্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি নাগাদ অনেকগুলো দেশে চলে আসবে এটি।
দেশীয় প্রযুক্ত ব্যবহার করে করোনার টিকা উৎপাদনে আশার কথা শুনিয়েছে ভারত। ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ অত্যন্ত নিরাপদ বলে জানানো হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো নিজেরা যেমন ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তেমনি অন্যদের কাছ থেকেও মিলিয়ন মিলিয়ন ডোজ নিতে চুক্তি করে ফেলেছে। ভারত এমনই একটি দেশ। তারা নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে, কোভিড ভ্যাকসিন উৎপাদনে আশার আলো দেখছে। ভারত বায়োকেটের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে দ্রুতই। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা বেশ ভালো ভাবেই পার করে তারা।
করোনায় বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিত পুরুষদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি: দাবি গবেষকদের
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার ভ্যাকসিন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারি না আমরা যে, এই ভাইরাসের কোনো টিকা রয়েছে। নভেম্বরের পরে বোঝা যাবে ভ্যাকসিন বাজারজাতকরণের গতিপথ। কিন্তু যত মানুষ ভারতে তাদের সবার কাছে পৌঁছাতে অনেক অনেক সময়ের ব্যাপার।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ভ্যাকসিন হাতে পেলে তা দুটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ হবে। প্রথমত যারা পেশাগতভাবে কোভিড ঝুঁকিতে ও যারা মারাত্মক অসুস্থ তাদের।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৬০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে চীন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, উৎপাদিত এ-সব ডোজ পেতে ইতোমধ্যেই বেইজিংয়ের সঙ্গে যারা চুক্তি করেছে তারা সঠিক সময়ে হাতে পাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন ভ্যাকসিন সহযোগিতা উদ্যোগ কোভ্যাক্সে যোগ দেয়ায় চীনের প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ ভ্যাকসিনের সরবরাহ পেতে শুরু করবে। তবে তার আগে শঙ্কা হলো, আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার বড় ধাক্কা কি করে সামাল দেয় দেশটি। এদিকে টিকা উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়নটেক মর্ডানার চেয়ে দ্রুত এগোচ্ছে।