ওড়িশা উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইয়াস
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের ওড়িশায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সকাল ১০টার দিকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণে আঘাত হানে ইয়াস।
প্রায় তিন ঘণ্টা তাণ্ডবের পর এখন বালেশ্বরের স্থলভাগে উঠে এসেছে ইয়াস। সেখানে প্রবল হাওয়া ও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিকে ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলার ৬৬টি বাঁধ ভেঙে নিচু এলাকাগুলোতে ৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
ভারতের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। কয়েক ঘণ্টা প্রবল তাণ্ডবের পর বেলা ১২টার দিকে বালেশ্বর ও ধামারার মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রভাগ স্থলভাগে উঠে আসে। এ সময় প্রবল ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়।
এদিকে ঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গেছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অনেক গাড়ি। গাছ ভেঙে বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সৈকত দিঘা, মান্দারমনি, শঙ্করপুর, তাজপুরসহ অনেক এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। পশ্চিম ও পূর্ব মেদেনীপুরের ৬৬টি বাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।
কাছাকাছি সময়ে ঘূর্ণিঝড়, পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
আগেই ওড়িশার উপকূল থেকে ছয় লাখ এবং পশ্চিমবঙ্গে উপকূল থেকে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে কলকাতা ও ওড়িশার বিমানবন্দরগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো ও রেল চলাচলও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নামানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে মঙ্গলবার থেকেই জারি রয়েছে রেড এলার্ট। বৃহস্পতিবার নাগাদ ঝড়টি দুর্বল হয়ে ঝাড়খান্ড অতিক্রম করতে পারে।