চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী হিস্পানিক এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, এমন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। মহামারি করোনাভাইরাসে এদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সিডিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সিডিসির হিসাব মতে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি হতে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দুই লাখ ৯৯ হাজার ২৮ জন মানুষ মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ১১ এপ্রিল থেকে আগস্টের ৮ তারিখ পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে ছিল দেশটিতে।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মহামারিতে বিভিন্ন দেশের সীমান্তে বন্ধ বা নানা বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য অন্য কোথায় যেতে পারেনি। কোভিডের চিকিৎসায় হিমশিম খাওয়া হাসপাতালগুলো সাধারণ রোগীদের নিয়মিত সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২০ সালে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যাসহ নানা ধরনের রোগ যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। তবে এ ধরনের সমস্যা কোভিডের কারণে বেড়েছে কিনা তা স্পষ্ট নন বিশেষজ্ঞরা।
এ বছর মৃত্যু হার সর্বোচ্চ ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে হিস্পানিক গোষ্ঠীর মধ্যে। কৃষ্ণাঙ্গদের গড়ের তুলনায় ৩২.৯ শতাংশ এবং এশিয়ানদের গড় থেকে ৩৬.৬ শতাংশ বেশি। শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে মৃত্যু ১১.৯ শতাংশ বেশি ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনায় প্রায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ১১ লাখ ২৯ হাজারের বেশি।