করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সন্ধ্যার পর সর্বসাধারণের জন্য দুর্গাপূজার মন্দির/মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। তাই এবার সন্ধ্যার পর পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা কিংবা আরতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।
বুধবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বশরীরে পূজায় অংশগ্রহণ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের করোনার কাছে আত্মসমর্পণ করে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন নাকি এবারের পূজায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন, তা আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কলকাতায় পুজোমণ্ডপে সিঁদুর খেলা বন্ধ
তারা বলেন, আমাদের সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে যে, দুর্গাপূজা পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠান। সবার অংশগ্রহণে করোনার বিস্তারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই এর দায় নিজের ঘাড়ে নেয়া থেকে দূরে থাকুন। সন্ধ্যারতির পর সর্বসাধারণের জন্য মন্দির/মণ্ডপ বন্ধ রাখুন। মা সর্বত্র বিরাজমান। বাড়িতে থেকে আপনার প্রণাম মা নিশ্চয়ই গ্রহণ করবেন। তিনি তার আশীর্বাদ থেকে কাউকে বঞ্চিত করবেন না।
সর্বস্তরের কমিটির নেতাদের এ বার্তা দ্রুত গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। সেখানে সংগঠনটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩২টি দুর্গাপূজা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাত ৯টা পর্যন্ত পূজামণ্ডপ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, সন্ধ্যারতির পর পূজামণ্ডপ বন্ধ থাকবে।
প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে বলেও জানিয়েছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।