নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নাইম নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো চারজন। শুক্রবার রাতে ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হৃদয় ও হাবিব নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নাইম ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে। আর আটক হৃদয় ও হাবিব একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত চলছে। প্রায়ই কিশোরদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি ও রাম দা নিয়ে মহড়া নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে মহড়া দিয়েও কাউকে আটক করতে পারেনি। দীর্ঘদিনের বড় ভাই ছোট ভাই ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে কিশোর নাইমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে হৃদয় নামে আরেক কিশোর।
বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যহীন: অর্থমন্ত্রী
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই নুর মোহাম্মদ জানান, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার একটি চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নাঈম ও লিমন তর্কে লিপ্ত হয়। কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষের লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছুরিকাঘাতে নাঈম গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে আল-আমিন, লিমনসহ চারজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।