জেলা প্রতিনিধি:
বছরের পর বছর ক্রমাগত লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে গেলো জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান পঞ্চগড় চিনিকল। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লোকসানের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের ভারী এই শিল্পটি। লোকসানের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, যান্ত্রিক ত্রুটি, অব্যবস্থাপনা ও বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রীত থাকা।
চিনিকল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪৮ টাকা প্রতি কেজি চিনি উৎপাদন খরচের বিপরীতে চিনি বিক্রি হয় মাত্র ৬০ টাকায়। বর্তমানে কারখানাটিতে ২ হাজার ৪৩০ টন চিনি গুদামে মজুত রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের শুরুতেই প্রতি বছর বাড়ছে লোকসানের বোঝা, ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত লোকসান হয় ২২২ কোটি টাকা। চলতি মৌসুম তথা ২০২০-২১ অর্থ বছর শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলটি।
আরও পড়ুন:ধর্ষণের পর হত্যা ছাত্রীর দুই বন্ধু রিমান্ডে
চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনারুল হক বলেন, অধিক লোকসান ঠেকাতে বন্ধ হয়ে গেছে কলটি। চিনিকলটিকে বহুমুখী না করলে এই সংকট কাটবে না। এ অবস্থায় থাকলে শ্রমিক-কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করবে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো শ্রমিক কর্মচারী ছাঁটাই করা হবে না, সবার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে মিলটি রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার বলেন, আখের স্বল্পতা, উৎপাদন খরচ ও পেস্কেল বেড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে মিলে লোকসান হচ্ছে, আমরা যে আখ পাই, তা দিয়ে মিলটিকে ১২ মাস চালু রাখা সম্ভব নয়। কলটিকে বহুমুখী না করলে এই সংকট কাটবে না।