অনলাইন ডেস্কঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রার আবেদন নাকোচ করা হয়েছে। তার আবেদনসংক্রান্ত ফাইলে ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশ যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ বলে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (৯ মে) সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।বিষয়টি বিকেল ৪টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তাদের আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না। মানবিক কারণে আবেদনপত্রটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। আইন অনুযায়ী যতটুকু করণীয় ততটুকু করেছি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় লিখিত আবেদনটি নিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরপরই তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে রাতেই পাঠানো হয়।
এরপর এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে সেখানে কী মতামত দিয়েছেন, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী তখন জানান, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
তবে খালেদা জিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।