গাইবান্ধা পুলিশের সব সংবাদ বর্জনের ঘোষণা প্রেসক্লাব গাইবান্ধার
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের সব ধরনের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা।
২৬ এপ্রিল সোমবার রাতে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার এক জরুরি সভায় উপস্থিত সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের গাফিলতি, অজ্ঞাত পুলিশের পরিচয় প্রকাশ না করা এবং ওসি মাহফুজার রহমানের কাছে নামমাত্র ব্যাখ্যা চাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি কেএম নেয়ামুল আহসান পামেলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি খালেদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাটাইমস-এর জেলা প্রতিনিধি জাভেদ হোসেন, সহসভাপতি মো. রুপম মিয়া।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- সহ সভাপতি বিমল কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, আহসানুল হক বিপ্লব, লালচাঁন বিশ্বাস সুমন, শাহজাহান সিরাজ, খোরশেদ আলম, আব্দুস সামাদ, লিটন মিয়া লাকু, নাইম ইসলাম, আবু জাফর মন্ডল, ওবাইদুল ইসলাম, মাহাবুব মিয়া, রবিন সেন, নাজমুল আলম রিনকুসহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, সুদের টাকা দিতে না পারায় হাসান আলী নামে এক জুতা ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর এক মাস বাড়িতে আটকে রাখেন আ.লীগ নেতা ও দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। পরে ১০ মার্চ সদর উপজেলার বল্লমঝার ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের (খানকাহ শরিফ) দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় পরদিন মাসুদ রানাকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানার দুই পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলায় প্রমাণ পায় গঠিত তদন্ত কমিটি। এ নিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান ও এএসআই মোশাররফ হোসেনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি সদর থানার ওসি মাহাফুজার রহমানের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।