গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলা করার দাবি করেছে আল-কুদস ব্রিগেড। খান ইউনিসের উত্তর ও পূর্ব দিকে তারা ইসরাইলি সৈন্য ও সামরিক যানের ওপর এসব হামলা চালায় বলে জানিয়েছে।
প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছে যে তারা গাজা উপত্যকায় তিনটি ইসরাইলি ট্যাংক, একটি ট্রুপ ক্যারিয়ার এবং একটি বুলডোজারকে টার্গেট করেছে।
তারা জানায়, তাদের যোদ্ধারা জুহর আল-দিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মধ্য গাজায় ইসরাইলি সামরিক অবস্থানগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে।
তেল আবিবে হামাসের রকেট হামলা
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা করেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নানা ভিডিওতে দেখা যায়, গাজা থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ব্যারেজকে তেল আবিবের আকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ সময় সেখানে বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় হামাস রকেট হামলার দায় স্বীকার করে। তারা বলে, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, যেকোনো মূল্যে বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে ইসরাইলি বন্দীদের পরিবার। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বন্দী থাকা ইসরাইলিদের পরিবার মন্ত্রিসভার সাথে সাক্ষাৎ করতে চায়। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ তাদের সাথে দেখা দিতে অস্বীকার করে। এতে বন্দীদের পরিবার অপমান বোধ করে। একইসাথে যেকোনো মূল্যেই হোক, বন্দীদের ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা চায়। সরকার যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, তবে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়।
সূত্রে আরো বলা হয়েছে, হামাসের হাতে বন্দী তামির আদরের মা ইয়ায়েল আদর এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা চাই মন্ত্রিপরিষদ আজই আমাদের সাথে বৈঠক করুক। এটি আমাদের অধিকার। এই অধিকারকে উপক্ষা করা আমাদের জন্য অপমানজনক।
তিনি আরো বলেন, যদি আজ রাত ৮টার মধ্যে মন্ত্রিসভা আমাদের সাথে না বসে, তবে প্রতিবাদের জন্য কী করতে হবে, সেটা আমাদের জানা আছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বন্দী পরিবাররা তেলআবিবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রবেশদ্বারে গিয়ে অবস্থান নেব। এরপর আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।
ইয়ায়েল আদর বলেন, সরকার আমাদেরকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তারা বন্দীদের মুক্তির বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এদিকে আরেক বন্দী পরিবারের সদস্য ড্যানিয়েল লিফশিটজ বলেন, আমার দাদা-দাদি এখনো হামাসের হাতে বন্দী। সরকারকে যেকোনো মূল্যেই হোক, তারাসহ সকল বন্দীদের মুক্ত করতে হবে।
তিনি সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে ফিরে যান। যেকোনো মূল্যেই হোক একটি চুক্তিতে পৌঁছান। আপনি তো আমাদের এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন।
সূত্র : আল জাজিরা