বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়া ও শরণখোলা উপজেলায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সাধারন মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য়) পর্যায় প্রকল্পের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা এবং সহযোগী সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলায় ৬ টি উপজেলায় ৪২ টি ইউনিয়নে কাজ করছে।
বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রামন বিধির মধ্যে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চেয়ারম্যানরা গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ সংক্রামন সময়কালীন অর্থাৎ এপ্রিল -২০২০ মাস থেকে সেপ্টেম্বর – ২০২০ মাস পর্যন্ত এই ৬ মাসে শরণখোলা উপজেলায় ৪ টি ইউনিয়নে ( মার্চ-২০ মাসের অপেক্ষমান) পূর্বের মামলা ছিল ৪০ টি, মামলা গ্রহণ হয়েছে সরাসরি ৮৯ টি, উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত ৪ টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৪ টি মামলা এবং বাস্তবায়ন হয়েছে ৮৫ টি মামলা। এই বাস্তবায়নকৃত মামলা থেকে মোট ১৩,৩২,১০০/- টাকা আদায় করে তা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে কচুয়া উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে মার্চ- ২০২০ মাসের শেষে অপেক্ষমান ছিল ২৫ টি মামলা।
করোনা কালীন এই ৬ মাসে গ্রহণ হয়েছে ৮৯ টি মামলা, নিষ্পত্তি হয়েছে ৭০ টি মামলা এবং বাস্তবায়ন হয়েছে ৭৭ টি মামলা। এই বাস্তবায়নকৃত মামলা থেকে মোট ৪,৪৩,৭০০/- টাকা আদায় করা হয়েছে। আদায় করা ক্ষতিপূরনের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষকে প্রদান করা হয়েছে। সাধারন মানুষ গ্রাম আদালতের বিচার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। করোনার সংক্রমনের পিক টাইমে অর্থাৎ এপ্রিল এবং মে মাসে মামলা গ্রহণ না হলেও পূর্বের চেয়ে এখন মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে আসছে এবং তারা বিচার পাচ্ছে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী, মোঃ আলিউল হাসানাত বলেন যে, প্রকল্পভূক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম আদালত সহকারীগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে নিয়মিত অফিস করছেন।
মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে তারা উঠান সভা, টি স্টল প্রোগ্রাম করছেন। সেখানে তারা গ্রাম আদালতের পাশাপাশি করোনা সম্পর্কে সাধারণ জনগনকে সচেতন করছেন।