চুয়াডাঙ্গার জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতফেরতদের চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হওয়া নারীকে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে থেকে দেশে ফিরেছিলেন ১১ বাংলাদেশি।
আজ দেশে ফেরত বাংলাদেশিরা দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছালে তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম ও ডা. আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা শনাক্ত ওই নারীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার শরীরে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল আলিম জানান ভারতের কোলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী আছেন। এ নিয়ে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দু’দিনে মোট ৮৩ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন। সন্ধ্যা ৬টায় চেক পোস্টের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।