জেলা প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গায় জীবনযাত্রা আরও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানতে দেখা যায়নি অনেককেই।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) বেলা যত বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় এদিনও দেখা যায়নি বাস চলতে। তবে অন্য সব গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, উন্মুক্ত স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজার ছাড়া বন্ধ থাকার কথা সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান। এরপরও অনেক স্থানে দেখা গেছে দোকান খুলতে। অলিগলির ভেতরের প্রায় সব দোকানই খোলা চোখে পড়ে।
শহরের বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। তবে নিয়ম মানায় বাধ্য করতে তাদের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কেমন মানা হচ্ছে, তা দেখতে এই প্রতিবেদক বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা শহরের বিভিন্ন মার্কেট-বিপনী, অলিগলি ও কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু দোকান একপাল্লা খুলে বেচাকেনা করছে। শুধু বাস বন্ধ দেখা গেছে। অন্য সব যান স্বাভাবিক নিয়মেই চলেছে।
অফিসগামী অনেককে দেখা গেছে রিকশা-ইজবাইক ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে।
অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো বালাই ছিল না রাস্তায়।
এদিকে, লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত করেন। মাস্ক ব্যবহার না করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ জনকে ১৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিষ্ট্রেট আমজাদ হোসেন জানান, কোন হোটেলে বসে খেতে দিচ্ছি না। চায়ের দোকানসহ আড্ডার জায়গা যেসব আছে সেগুলো বন্ধ আছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি লকডাউনের সুফল জনগণকে বুঝানোর আর যারা মাস্ক ব্যবহার করছে না তাদেরকে মাস্ক দেয়া হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ আছে বলেও তিনি জানান।