ছাত্রীকে ধর্ষণ শিক্ষকের বিচার দাবী শিক্ষার্থীদের
জয়নাল আবেদীন জয়/জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুল শিক্ষকের বিচার না করায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ রাস্তা অবরুদ্ধ করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা, দীর্ঘ দুই ঘন্টা চেষ্টার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ শে জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তি পরীক্ষা না দিয়ে প্রশ্ন ও খাতা ছিড়ে ফেলে পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান শিক্ষক তাপসকে স্কুলে অবরুদ্ধ করে রেখে। শিক্ষার্থীরা হাতে লাঠি নিয়ে স্কুলের সামনে আফতাবগঞ্জ- ফুলবাড়ী রাস্তায় মিছিল করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আশেপাশের লোকজন উক্ত বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও জনতারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, অভিযুক্ত শিক্ষক ফিরোজ এর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের জানালা দরজা ভাংচুর করে।
সংবাদ পেয়ে প্রথমে আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ী পরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতি হওয়ায় দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক আকাশ পথে ঢাকা থেকে এসে এবং দিনাজপুরের সদর সার্কেলের এএসপি মোমিনুল করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য উক্ত ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেওয়াতে ছাত্রছাত্রী ও উত্তজিত জনতা শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
জানাযায়, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী রুকুমনি (১৬) কে একই স্কুলের রেজওয়ানুল ইসলাম ফিরোজ (৩৭) নামে এক শিক্ষক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে। কিছুদিন পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ঐ ছাত্রীকে বিয়ে না করে তালবাহানা শুরু করে, বিষয়টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জানাজানি হলে। শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের নিকট এর বিচার চাইলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাওয়াতে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বিচারের দাবিতে মাঠে নামেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্কুল শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল কমিটি এবং থানা পুলিশকে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে, তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।