জিপিএ ৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা পানছড়ির জান্নাতুল
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসা বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করলেও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা জান্নাতুল ফেরদৌস।
সে লোগাং ইউনিয়ন এর বাসিন্দা দিনমজুর কাজী জাকির হোসেন এর কনিষ্ঠ কন্যা। সংসার চালাতে দীর্ঘ আট বছর ধরে চট্টগ্রামের আবুল খায়ের কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন জান্বানাতুল এর বাবা জাকির হোসেন।
জানা যায়, মেধাবী সাদিয়া পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করেছিলো। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেও অর্থের অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার দরিদ্র বাবা-মা। অভাবের সংসারে পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য নেই তার দিনমজুর বাবার। অথচ শত অভাবের মাঝেও জান্নাতুল ফেরদৌস বুকে লালন করছে ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন।
ভালো ফলাফলের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্যাররা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।এইছাড়াও আমার বাবা ধার দেনা করে বিভিন্ন বই কিনে দিয়েছিল এজন্য এই ফল করতে পেরেছি আমি।
জান্নাতুল ফেরদৌস এর মা জমিলা বেগম বলেন, অনেক কষ্টে আমাদের সংসার চালাতে হয়। দিনে এনে দিনে খাওয়ার মতো। মেয়ের পড়াশোনার টাকা দেবো কোথা থেকে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আল্লাহ জানেন, টাকার অভাবে মেয়ের ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না।এছাড়া আমার আরেকটি মেয়ে ও ছেলে আছে। মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে পানছড়ি সরকারি কলেজ থেকে।
পানছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা বলেন, মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী বলে জানতে পেরেছি আমরা। তাকে আমরা সহযোগিতা করবো ভর্তির ব্যাপারে। এই ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে নিতে বিত্তবান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে সে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে।