ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০৪৯ বার পড়া হয়েছে

পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড বাবা। রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে সোমবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। হত্যার পর একটি চিরকুটে পরকীয়ার অভিযোগ লিখে পালিয়ে গেছে ঘাতক ওয়াহেদুল।

জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে কলহের এক পর্যায়ে স্বামী ওয়াহেদুল স্ত্রী রুমা আক্তারকে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে এবং শিশু রিসাদকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, আউট সোর্সিং ছাড়াও অনলাইন জুয়ায় জড়িত ওয়াহেদুল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। পলাতক ওয়াহেদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।

রুমার পরিবারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই ওয়াহেদুল ও তার স্ত্রীর সাংসারিক কলহ লেগেই ছিলো। প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ ওয়াহেদুল প্রায়ই গালিগালাজ করতো রুমাকে। বিবাহ বিচ্ছেদের উদ্যোগ নিলেও ওয়াহেদুলের পরিবার সমঝোতায় আসে।

পুলিশ জানায়, অনলাইনে আউট সোর্সিং এর কাজ করতো ওয়াহেদুল। এক সময় অনলাইন জুয়ায়ও আসক্ত হয় পড়ে সে। অভাবের কারণে রিক্সা চালিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন রুমার বাবাও।

নিহত রুমা আক্তারের বাবা আমির হামজা বলেন, আমার মেয়েকে সে সবসময় সন্দেহ। আমি অনেক টাকা দিয়েছি। প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রুমা। সন্তান জন্মের পর ছেদ পড়ে লেখাপড়ায়।

রুমার এক সহপাঠী জানিয়েছেন, কিন্তু স্বামীকে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টাতেই ফ্রান্স প্রবাসী এক বন্ধুর সাথে কথা বলতো রুমা আক্তার।

ওয়াহেদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[irp]

ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড বাবা। রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে সোমবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। হত্যার পর একটি চিরকুটে পরকীয়ার অভিযোগ লিখে পালিয়ে গেছে ঘাতক ওয়াহেদুল।

জানা যায়, স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে কলহের এক পর্যায়ে স্বামী ওয়াহেদুল স্ত্রী রুমা আক্তারকে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে এবং শিশু রিসাদকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, আউট সোর্সিং ছাড়াও অনলাইন জুয়ায় জড়িত ওয়াহেদুল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো। পলাতক ওয়াহেদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।

রুমার পরিবারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই ওয়াহেদুল ও তার স্ত্রীর সাংসারিক কলহ লেগেই ছিলো। প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ ওয়াহেদুল প্রায়ই গালিগালাজ করতো রুমাকে। বিবাহ বিচ্ছেদের উদ্যোগ নিলেও ওয়াহেদুলের পরিবার সমঝোতায় আসে।

পুলিশ জানায়, অনলাইনে আউট সোর্সিং এর কাজ করতো ওয়াহেদুল। এক সময় অনলাইন জুয়ায়ও আসক্ত হয় পড়ে সে। অভাবের কারণে রিক্সা চালিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন রুমার বাবাও।

নিহত রুমা আক্তারের বাবা আমির হামজা বলেন, আমার মেয়েকে সে সবসময় সন্দেহ। আমি অনেক টাকা দিয়েছি। প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রুমা। সন্তান জন্মের পর ছেদ পড়ে লেখাপড়ায়।

রুমার এক সহপাঠী জানিয়েছেন, কিন্তু স্বামীকে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টাতেই ফ্রান্স প্রবাসী এক বন্ধুর সাথে কথা বলতো রুমা আক্তার।

ওয়াহেদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[irp]