মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কজুড়ে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্সকে ঘায়েল করলেন ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। পেন্স নানাভাবে ট্রাম্পকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, করোনা নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প প্রশাসনের ঐতিহাসিক ব্যর্থতা তুলে ধরতে সরব ছিলেন হ্যারিস। এছাড়াও আলোচনায় ছিল ট্রাম্পের ট্যাক্স ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা। এদিকে সিএনএন-এর জরিপে ট্রাম্পের পথ ধরে পেন্সও হারলেন হ্যারিসের কাছে।
প্রেসিডেন্ট বিতর্কের ঠিক বিপরীত চিত্র ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট বিতর্কে। প্রেসিডেন্ট বিতর্ক যতটাই বিশৃঙ্খল ছিল ততটাই শান্ত ও সুশৃঙ্খল ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট বিতর্ক। ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়তি সতর্কতায় দুই প্রার্থীর মাঝে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের দেয়াল তুলে দেওয়া হয়। নব্বই মিনিটের বিতর্কে চোখে পড়েছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দৌরাত্ম।
১৬ বছরের কিশোরী হলেন একদিনের প্রধানমন্ত্রী!
বিতর্কের শুরুটাই হয় করোনাভাইরাস নিয়ে। মহামারি ঠেকাতে সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসনের ঐতিহাসিক ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন কমলা। আর করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় আরো প্রাণহানি ঠেকানো গেছে।
চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন নিয়েও হয় তর্ক। কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশি নির্যাতনসহ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে কমলা হ্যারিস বলেন, ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সমর্থন করেন।
বিতর্কে আরো ঠায় পায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ, গর্ভপাতসহ নানা বিষয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ইউএসএ টুডে’র সাংবাদিক সুসান পেইজ। অনুষ্ঠান শেষে মাইক পেন্সের স্ত্রী সেকেন্ড লেডি কেরেন বেটেন ও কমলার হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ মঞ্চে এসে তাদের জীবনসঙ্গীদের অভিনন্দন জানান। এসময় ডগলাসের মুখে মাস্ক থাকলেও সেকেন্ড লেডির মুখে মাস্ক ছিল না।