সরকারি চাকুরিতে কোটা সংষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে সহিংসতায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সড়ক, নৌ ও রেলপথ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর থেকে ধীরে ধীরে সড়কে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকায় ফিরেছে আগের যানজট। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে। স্বাভাবিক হয়েছে লঞ্চ চলাচল। ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট থেকে নিয়মিত যাত্রী নিয়ে সারা দেশে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। আর আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
ঢাকার সড়কে গতকাল বুধবারও (৩১ জুলাই) ছিল তীব্র যানজট। যান চলাচল পরিস্থিতি এতটাই স্বাভাবিক হয়েছে যে রাতে কারফিউ চলা অবস্থায়ও যানজট দেখা যায়। দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়েছে।
এদিকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লঞ্চ চলাচল। প্রথমে কারফিউ শিথিল থাকার সময় লঞ্চ চললেও এখন পুরোদমে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। শুরুতে ঢাকা থেকে চাঁদপুর, ইলিশা ও সুরেশ্বর পর্যন্ত লঞ্চ চলেছে। এখন ঢাকা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার মতো দূরের গন্তব্যেও লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। ফিরতি পথেও ঢাকায় যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহ-সভাপতি আবুল কালাম খান বলেন, এ মুহূর্তে লঞ্চ স্বাভাবিক আছে। কয়েক দিন ধরেই ঢাকা থেকে লম্বা দূরুত্বে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। যাত্রীরা এখন আগের মতোই স্বাভাবিক সময়সূচিতে লঞ্চে ভ্রমণ করতে পারবেন। দিনরাত সব সময়ই লঞ্চ পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, যদিও আপাতত শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালানো হবে। ঢাকাসহ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ট্রেন চলাচল করবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে। আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলপথ মন্ত্রণালয়।