মোঃ ফরিদ হোসাইন মাসুম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ সরকারি নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন উপজেলায় করােনাভাইরাস বিস্তার রােধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পৌর শহর ও গ্রামঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । শুধুমাত্র কাঁচাবাজার , ওষুধের দোকান ও নিত্যপণ্যের দোকান খােলা রাখার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ।
কিন্তু এসব দোকানও সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তা – ঘাট । লকডাউনের কবলে পরে দিশেহারা নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা । শহর ও গ্রামের রাস্তায় দু’একটি করে রিকশা , অটোরিকশা দেখা গেলেও ভাড়া পাচ্ছেন না চালকরা ।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ । এদিকে , জেলা – উপজেলায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট , যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন । আর এ নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ । ঠাকুরগাঁও শহরের রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম জানান , একদিন রিকশা না চালালে খাবার জোটে না ।
তাই রিকশা নিয়ে সকাল থেকে শহরে ঘুরছি । শহরে রাস্তায় তেমন লােকজন নেই , তাই যাত্রী মিলছে না । প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা রােজগার করি । বর্তমানে এমন অবস্থা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০ টাকা রােজগার হয়েছে আয় ।
রােজগার করতে না পারলে কিস্তি দেব কি করে , পরিবারের মুখেও খাবার জুটবে না শহরের আরেক রিকশাচালক আব্দুল কাদের ও শহিদুল জানান , আমরা গরিব মানুষ প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে চাল – ডাল কিনে খাই । বিধি নিষেধ থাকলেও উপায় নেই । আমাদের । তাই সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রিকশা নিয়ে ঘুরছি । এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারেই থাকতে হবে ।
এসময় যদি কেউ সাহায্য করতাে অনেক উপকার হতাে । এ অবস্থায় এইসব মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ঠাকুরগাঁও শ্রমিক নেতা বদিউজ্জামান বাদল । তিনি বলেন , সকলের কল্যাণের জন্যই সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে ।
কিন্তু আশেপাশে এমন অনেকেই রয়েছেন , যারা দিনের রােজগার দিয়ে সেদিনের আহারের ব্যবস্থা করেন । পাশাপাশি কিছু ভাসমান মানুষও রয়েছে ।
সেই সকল খেটে খাওয়া পরিশ্রমী মানুষ যাতে না খেয়ে না থাকেন , সে ব্যাপারে আমাদের সকলেই এগিয়ে আসতে হবে ।