করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে করা প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। আদালতে আজ আরো একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বাড়িওয়ালার গাড়ির ড্রাইভার মোহাম্মদ মবিনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলায় ৪২ জনের মধ্যে ছয় জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতন: বাদলসহ দুইজনের স্বীকারোক্তি
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের এবং সাবরিনা ও আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।
৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটভূক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।