আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশকে ভাবিয়ে তুললেও বাংলাদেশ রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সময় সংবাদকে জানান, দেশটিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে উন্নয়ন অংশীদার হতে চায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স বাড়তি সুবিধা দেবে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তালেবান সরকার। দুই দশক পর গোঁড়া ইসলামি এ গোষ্ঠী আবারও ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। আসছে নিরাপত্তার নানা প্রশ্নও।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভুগতে থাকা ভারত গত মঙ্গলবার কাতারে বৈঠকে বসে তালেবান নেতা শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টেনেকজাইয়ের সঙ্গে। ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালের সঙ্গে প্রকাশ্য এ বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ আলোচনায় উঠে আসে নানা ইস্যু।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের যে ভয়টা রয়েছে কাশ্মীর সম্পর্কে তালেবানদের নীতি সেটা পরিচালনা করবে কি না। এই মুহূর্তে আমরা কোনো শঙ্কা দেখছি না।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্ব বাংলাদেশের উগ্রপন্থিদের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব সময় সংবাদকে জানান, সরকার সফলভাবে উগ্রপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা-কাবুল সম্পর্ক নির্ভর করছে তালেবানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা দেখব। দেশটির নতুন সরকার কীভাবে শুরু করে সেটা লক্ষ্য করা হচ্ছে। আমার মনে হয় না যে এমন কোনো পরিস্থিতি আছে তালেবানদের নিয়ে আমাদের অস্থির হওয়ার মতো কিছু আছে।
সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ইস্যুতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের কোনো গোষ্ঠীর বা ব্যক্তির পৃষ্টপোষকতা ছাড়া যারা সন্ত্রাস করেন তারা কিন্তু সহজেই জায়গা পায় না। উন্নয়নের ব্যাপারে আমার মনে ভালো সম্পর্ক হতে পারে আফগানিস্তানের সঙ্গে হতে পারে।
এদিকে বুধবার রাতে আফগানিস্তানে আটকেপড়া ৬ বাংলাদেশি নাগরিকও দেশে ফিরেছেন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।