সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান রোহিঙ্গা সংকটসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্যায় চীনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেইজিং।
ঢাকার চীনা দূতাবাস শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্ট জানিয়েছে, স্টিফেন ই বিগানের এমন দাবি পুরোপুরি অসঙ্গত যা মোটেই গঠনমূলক নয়।
মহানবী (সা.) কে অবমাননা: কুয়েতের মার্কেটে ফ্রান্সের পণ্য বয়কট
ভারত এবং বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে চীন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে খুব সামান্য সহায়তা করেছে’।
বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এটি সকলেরই প্রত্যাশা যে, বিগানের এই সফর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের দিকে আলোকপাত করবে। তবে তিনি ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার পূর্বেই চীন-ভারত সীমান্তের দ্বন্দ্ব, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা, দক্ষিণ চীন সাগরের সমস্যা সমূহ এবং হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইনের প্রসঙ্গ টেনে চীনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা শুরু করেন যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্কই নেই। এমন আচরণ কেবল কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মারাত্মক লঙ্ঘনই নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও যথেষ্ট অসম্মানের। তার এই সফরের আয়োজক বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় জাতি। যারা বিশ্বাস করে ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথেই বৈরিতা নয়’ এটিই হওয়া উচিৎ কূটনীতির পথ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, বিগানের এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের বিষয় রোহিঙ্গা সংকটকে অবলম্বন করে চীনের সমালোচনা করা এবং নিজেদের পক্ষপাতিত্ব প্রচার করার চরিত্রের একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। যেহেতু আমাদের মধ্যকার সমস্যা সমাধানের জন্য চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রচুর দ্বিপাক্ষিক উপায় রয়েছে, তাই পূর্ব সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষকে টেনে আনা বিগানের উচিত হয়নি। এখানে আমরা উভয়পক্ষই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের জন্য এসেছি তাই পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে অপচয় করার মতো যথেষ্ট সময় আমাদের থাকা উচিত নয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান চলতি অক্টোবর মাসের ১৪ থেকে ১৬ তারিখ বাংলাদেশ সফর করেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি ঢাকায় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ২০ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। ঢাকা ও ওয়াশিংটন দুই জায়গাতেই গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় স্টিফেন বিগান চীনের ভূমিকার সমালোচনা করেন।