জায়গা দখল করতে গিয়ে এক তরুণী ও তার মার ওপর হামলা চালায় এক পক্ষ। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌর এলাকার এয়াকুবনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্ত আসামি ওই তরুণীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষিতার ডায়েরির ‘পাতায় পাতায়’ প্রতারণার গল্প
মামলার বিবরণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির জমি নিয়ে দুই ভাই আবু তাহের ও আবুল বসরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিরসনে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিসও অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উভয় পক্ষ নিজ নিজ জায়গা সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে আলাদা করে নেয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে নিজের জায়গায় ঘরের কাজ শুরু করে প্রবাসী আবু তাহের। তখন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করে আবুল বসরের ছেলে আলী আকবর। আদালত ১৫৪ ধারা জারি করলে কাজ বন্ধ রাখে আবু তাহের। আদালত থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারকে ভূমি জরিপ করে প্রতিবেদন দিতে বলে। সেইমতে বৃহস্পতিবার ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়। সার্ভেয়ার ভূমি পরিমাপ করে চলে যাওয়ার পর আলী আকবর চাচাতো বোন রুনা আক্তার মিতু ও তার মায়ের ওপর হামলা চালায়। মা ঘরে ঢুকে রক্ষা পেলেও রুনা আক্তারকে মেরে আহত করে তারা। এ সময় প্রকাশ্যে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়ে তার পরনের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে আলী আকবর ও তার সহযোগীরা।
এ পরিস্থিতিতে রুনা আক্তারের ছোট বোন তানজিনা সাহায্য চেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেন। সেখান থেকে থানাকে জানানোর পর এসআই আবুল বাসার গিয়ে রুনা আক্তারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্যদিকে, পুলিশ আসার খবরে আলী আকবর ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের করে রুনা আক্তার। মামলা দায়েরের পর বাদীকে অভিযুক্তরা নানা রকম হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া এসআই আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহতাবস্থায় রুনা আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা খরচও দেন তিনি।